রোববার (৫ জানুয়ারি) দেশটির মাশহাদ শহরের রাস্তায় জনতার ঢল নামে। হাজার হাজার বিক্ষুদ্ধ ইরানি 'আমেরিকা নিপাত যাক' সহ বিভিন্ন মার্কিন বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে।
ইরানের মাশহাদ শহরে জানাজা ও শ্রদ্ধা অনুষ্ঠানে দেশটির এক শীর্ষ নেতা বলেন, এদেশের প্রায় ৮০ মিলিয়ন জনসংখ্যা রয়েছে। প্রত্যেকে যদি এক ডলার করে দেয় তাহলে ৮০ মিলিয়ন হবে। আর যে ব্যক্তি ট্রাম্পের মাথা এনে দিতে পারবে তাকে ওই ৮০ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে।
এদিকে সোলেমানিকে হত্যার প্রতিবাদে ইরানে চার দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে। আর তার মরদেহ শিয়া মুসলমানদের ৫টি পবিত্র স্থানে নেওয়া হবে। এর মধ্যে একটি মাশহাদে আর বাকী চারটি ইরানে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাতে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন হামলায় নিহত হন ইরানি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর এলিট কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেমানি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে সোলেমানিকে হত্যা করা হয় বলে নিশ্চিত করে পেন্টাগন।
এরই মধ্যে সোলেমানি হত্যায় ক্ষুব্ধ ইরানের জেনারেল গোলাম আলি আবু হামজাহ হরমুজ প্রণালীতে গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন স্থাপনায় হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তার বাহিনী ডেস্ট্রয়ার ও যুদ্ধজাহাজসহ পারস্য উপসাগর ও ইজরায়েলের নিকটবর্তী প্রায় ৩৫টি মার্কিন স্থাপনার দিকে তাক করে আছে বলে জানান তিনি।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) এক টুইট বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ৫২টি স্থাপনা চিহ্নিত করেছে, যা অত্যন্ত উচ্চপর্যায়ের এবং ইরানের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। যদি তেহরান আক্রমণ করে তাহলে ওইসব স্থাপনা এবং ইরান নিজেও অত্যন্ত দ্রুত ও কঠিন আঘাতের শিকার হবে। যুক্তরাষ্ট্র আর কোনো হুমকি চায় না।
১৯৭৯ সালের দিকে ৫২ জন মার্কিন নাগরিককে প্রায় একবছর জিম্মি করে রাখার প্রতীক হিসেবে ইরানের ৫২টি স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বাংলাদেশ সময়: ০৬১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
এসএইচ