দীর্ঘ আট বছর পর শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) জুমার খুতবায় অংশ নিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে সবশেষ ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি জুমার নামাজে নেতৃত্ব দেন।
৮০ বছর বয়সী খামেনি খুতবায় বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানের জনগণের পাশে থাকার শুধুমাত্র অভিনয় করছেন, কিন্তু বাস্তবে তিনি জাতিকে পেছন দিক থেকে ‘বিষাক্ত ছুরি মারছেন’।
এদিনের খুতবায় হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছিলেন এবং খুতবার মাঝে মাঝে ‘আল্লাহ মহান’, ‘আমেরিকার মৃত্যু হোক’ বলে আওয়াজ উঠে।
ইরানের সর্বোচ্চ এই নেতা বলেন, আইএস’র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবচেয়ে কার্যকর কমান্ডারকে আমেরিকা ‘কাপুরোষোচিত’ভাবে হত্যা করেছে। এর মাধ্যমে মূলত তারা তাদের ‘সন্ত্রাসী মনোভাব প্রকৃতি’ প্রকাশ করেছে।
এ সময় খামেনি মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন স্থাপনায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দিনকে ‘ঈশ্বরের দিন’র সঙ্গে মিল রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। একইসঙ্গে পরাশক্তি হিসেবে আমেরিকার ভাবমূর্তি ধূলিস্ম্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন।
ইউক্রেন এয়ারলাইন্সের প্লেনে গুলির ঘটনাকে ‘দুর্ঘটনা’ আখ্যা দিয়ে খামেনি বলেন, ঘটনাটি ইরানকে যতটা বেদনা দিয়েছে, ততটাই আনন্দ দিয়েছে শত্রুপক্ষকে।
১৯৮৯ সাল থেকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হন তিনি। দেশটিতে তার কথার ওপরে কারো কোনো কথা বলার সুযোগ নেই। তিনিই দেশটির গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২০
জেডএস