ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

যে ১৬ কারণে ফের দিল্লির মসনদে কেজরিওয়াল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০
যে ১৬ কারণে ফের দিল্লির মসনদে কেজরিওয়াল হ্যাট্রিক জয় পেয়ে তৃতীয়বারের মতো দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কাজের মাধ্যমেই জনগণের আস্থা আবারও জিতে নিয়েছে আম আদমি পার্টি (এএপি), এমনটিই মনে করছেন দলটির নেতারা।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ১৬টি কারণে কেজরিওয়ালের এএপি’র ওপর ভরসা রেখেছে দিল্লির জনগণ।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে উত্তাল ভারত।

এরই মধ্যে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন যেন সমুচিত জবাব দিলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি)।

কেজরিওয়ালের বিজয়ের অন্যতম কারণ বিজেপিবিরোধী ভোটগুলো চলে গেছে এএপি’র ঝুলিতে। মুসলমানরাও ভোট দিয়েছেন এএপিকে। ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় যেসব কাজ কেজরিওয়াল করেছেন, সেসবও জনগণের ভোট বাগিয়ে নিতে সাহায্য করেছে। দুইশ’ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ, প্রতিদিন সাতশ’ লিটার পর্যন্ত পানি, সরকারের তৈরি স্থানীয় ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসা এবং ওষুধ বিনামূল্যে দিয়েছেন তিনি। সরকারি (ডিটিসি) বাসে নারীদের বিনামূল্যে সফরের সুযোগ ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাসে মার্শাল নিয়োগ করেছেন তিনি। নিরাপত্তার স্বার্থে দিল্লির নানা জায়গায় লাগিয়েছেন সিসিটিভি ক্যামেরা। দিল্লির সরকারি স্কুলগুলোর অবকাঠামো ও শ্রেণিকক্ষে এনেছেন আমূল পরিবর্তন।

কেজরিওয়ালের বিজয়ের কৌশল হিসেবে আরও কাজ করেছে- কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা দিল্লির পুলিশ কেন শাহিনবাগে রাস্তা খালি করছে না, সে প্রশ্ন তোলা; শাহিনবাগের বিক্ষোভস্থলে না যাওয়া, বিজেপি একে মূল ইস্যু করতে চাইলে এ তর্ক থেকে দূরে থাকা, নিজ সরকারের ছাড়া অন্য ইস্যুতে এমনকি সিএএ-এনআরসি নিয়েও কথা না বলা ও মোদীকে আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকা। বিজেপি ও কংগ্রেসের সমর্থকদের কাছেও অভিনব উপায়ে বারবার ভোট চেয়েছেন কাজরিওয়াল।

নিজের কাজের প্রচার করে তিনি বারবার বলেছেন, ‘এতো কাজের পরেও তারা আমাকে আতঙ্কবাদী বলছেন। ’ কাজ ও কৌশল দু’ভাবেই তিনি পরাজিত করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপিকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০
এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।