তবে মুফতে এমন স্বেচ্ছাসেবী খোঁজা হচ্ছে, তা নয়। যারা এই গবেষণায় স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে অংশ নেবেন তাদের প্রত্যেককে পারিশ্রমিক হিসেবে ৭ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ লাখ টাকা) দেওয়ার প্রস্তাব করেছে এইচভিভো নামের লন্ডনভিত্তিক ওই গবেষণা সংস্থা।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক সংবাদ সংস্থা নাইন নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
খবরে বলা হয়, এই গবেষণায় অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবীদের শরীরে করোনা ভাইরাসের জীবাণু ঢুকিয়ে দুই সপ্তাহের জন্য একটি ল্যাবরেটরিতে অন্তরীণ (কোয়ারেন্টাইন) রাখা হবে। এ সময়ে তাদের অন্য কোনো মানুষের সংস্পর্শেও যেতে দেওয়া হবে না। স্বেচ্ছাসেবীদের খাবারের তালিকাও হবে নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট অনুসারে।
তবে, সাবধানতার জায়গা থেকে এ গবেষণায় অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবীদের শরীরে বর্তমান বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী কভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের জীবাণু দেওয়া হবে না, বরং করোনা পরিবারেরই তুলনামূলক মধ্যম মাত্রার অন্য দুই ভাইরাস ০সি-৪৩ ও ২২৯ই-এর জীবাণু সংক্রমিত করা হবে। কিন্তু এ দুই করোনা ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করেই কভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের পথে এগিয়ে যাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এইচভিভো জানায়, ২৪ জন করে স্বেচ্ছাসেবীর দল দিয়ে এ গবেষণা পরিচালিত হবে।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এই গবেষণা পরিচালনায় আমরা সুস্থ সবল স্বেচ্ছাসেবীদের আমন্ত্রণ জানাই। প্রতিষেধক আবিষ্কারে তাদের প্রচেষ্টাকে আমরা স্বাগত জানাই। যারা এতে অংশ নেবেন তাদের কফ ও ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এতে অংশ নেওয়া স্বেছাসেবীদের কোয়ারেন্টাইনকালে পরিবার বা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হবে না। চিকিৎসক ও নার্সরাও এতে সুরক্ষিত পোশাক পরে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছে এইচভিভো।
এইচভিভোর এ গবেষণা কার্যক্রম এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের মেডিকেল রিসার্চ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠানের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে বলে খবরে জানানো হয়।
আগামী বছরের প্রথমদিকে কভিড-১৯-এর প্রতিষেধক আবিষ্কার করা সম্ভব হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২০
এইচজে