ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

হিলারির মতো পরিণতির আশঙ্কা বাইডেনের!

শাওন সোলায়মান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০২০
হিলারির মতো পরিণতির আশঙ্কা বাইডেনের!

কয়েক ঘণ্টা পরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সকাল হলে শুরু হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইলেকটোরাল কলেজ পর্ব। ইতোমধ্যে পপুলার পর্বে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন দেশটির সাধারণ জনগণ।

এক জরিপ অনুযায়ী, ইতোমধ্যে পপুলার ভোটে এগিয়ে আছেন ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন। তবুও হিলারির মতো পরিণতি ভোগ করারও আশংকা থাকছে বাইডেনের।

২০১৬ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের থেকে প্রায় ৩০ লাখ বেশি পপুলার ভোট পেয়েও হেরে গিয়েছিলেন ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। কারণ ইলেকটোরাল কলেজ ভোটিং পদ্ধতিতে বিজয়ী হন ট্রাম্প।

বিষয়টি বুঝতে একটু আলোচনা করা যাক পপুলার ভোটিং এবং ইলেকটোরাল কলেজ ভোটিং পদ্ধতি নিয়ে। মার্কিন জনগণ সরাসরি তাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন না। প্রথম ধাপে সাধারণ জনগণ নিজ নিজ রাজ্যে ইলেকটোরাল কলেজ নির্বাচন করেন। নাগরিকদের ইলেকটোরাল নির্বাচনের এই ভোটকে বলা হয় ‘পপুলার ভোট’। এই ইলেকটোরাল অর্থাৎ নির্বাচকরাই পরবর্তীসময়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এখানে কলেজ বলতে একটি দল বা গোষ্ঠীকে বোঝানো হয়। ইলেকটরদের ভোটকে বলা হয় ইলেকটোরাল কলেজ ভোট।

নিয়ম অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি রাজ্যে নির্দিষ্ট সংখ্যক ইলেকটোরাল কলেজ বরাদ্দ থাকে। রাজ্যের নাগরিকেরা তাদের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের জন্য নিজ নিজ প্রার্থীদের ইলেকটোরদের নির্বাচন করেন। কোনো রাজ্যে একজন প্রার্থী ৫০.০১ শতাংশ পপুলার ভোট পেলেই সেই রাজ্যের নির্ধারিত সব ইলেকটোরাল কলেজ ভোট ওই প্রার্থী পেয়েছেন বলে ধরে নেওয়া হবে।

উদাহরণ দিয়ে বললে, টেক্সাসে ৩৮টি ইলেকটোরাল ভোট আছে। সেখানে জো বাইডেনের সমর্থনে নাগরিকেরা প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট দিলেন। সেই হিসেবে জো বাইডেন পেলেন অন্তত ২২টি ইলেকটোরাল ভোট। কিন্তু হিসাব করা হবে যে, এই রাজ্যের সব ইলেকটোরাল ভোটই বাইডেন পেয়েছেন। অর্থাৎ বাইডেনের ইলেকটোরাল ভোট হিসেবে গণ্য হবে পুরো ৩৮টিই।

আবার ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে সর্বোচ্চ ৫৫টি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে। যে প্রার্থী এখানে সবচেয়ে বিজয়ী হবেন তিনিই হবেন পুরো ৫৫টি ইলেকটোরাল ভোটের মালিক। দেশটির প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এমন জটিল নিয়মের কারণেই নাগরিকদের সর্বাধিক ভোট প্রাপ্ত প্রার্থীই বিজয়ী হবেন- এমন সমীকরণ কার্যকর হয় না যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে।

এভাবে দেশটির মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে মাইন ও নেব্রাসকা রাজ্য ছাড়া অন্তত ২৭৯টি ভোট যিনি পাবেন তিনিই হবেন আগামী চার বছরের জন্য হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা।

সর্বশেষ ২০১৬ সালের নির্বাচনেও এমন হিসাবের মারপ্যাঁচে প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি হিলারি ক্লিনটন। তার আগে ২০০০ সালেও একইভাবে আরও একবার ঘর পুড়েছিল ডেমোক্রেটদের। সেবার ২৭১ ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন জর্জ ডব্লিউ বুশ। যদিও তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আল গোর বুশের চেয়ে পপুলার ভোটে এগিয়ে ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২০
এসএইচএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।