ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও চীনে গর্ভফুলের অবৈধ বাণিজ্য অব্যাহত

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৭ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২১
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও চীনে গর্ভফুলের অবৈধ বাণিজ্য অব্যাহত

সাম্প্রতিক একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও চীনে কালোবাজারে মানব গর্ভফুল গোপনে বিক্রি হচ্ছে।

সোমবার দ্য পেপার ডট সিএন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, কালোবাজারীরা পরিত্যক্ত হাসপাতাল, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কেন্দ্র এবং চিকিৎসা বর্জ্য কেন্দ্র থেকে গর্ভফুল সংগ্রহ করে।

প্রতিটি গর্ভফুল প্রায় ৮০ ইউয়ান বা ১২ মার্কিন ডলারে বিক্রি করে।

গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলিবাবার একটি ব্যবহৃত জিনিসপত্র কেনাবেচার ওয়েবসাইটে মানব গর্ভফুল বিক্রি করা হচ্ছে। বিক্রেতারা পণ্যের বর্ণনার স্থানে সরাসরি মানব গর্ভফুলের কথা লেখেন না।  

একজন খুচরা বিক্রেতা জিয়ানিজুতে ৩৬০ ইউয়ানে গর্ভফুল বিক্রি করেন। তিনি বলেন, বেশি কিনলে আরও কম দাবে দেওয়া সম্ভব।  

সাংহাইয়ের একটি হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মী হুয়াং জানান, হাসপাতালগুলো গর্ভফুল মায়েদের কাছে ফেরত দেয়। কিন্তু না চাইলে চিকিৎসা বর্জ্য হিসেবে ফেলে দেওয়া হয়।  

হুয়াং বলেন, নতুন মায়েরা তাদের গর্ভফুল বাড়িতে নিয়ে গিয়ে খেতে পছন্দ করেন।

চীনাদের গর্ভফুল খাওয়ার ঘটনা খুবই সাধারণ ব্যাপার। বিশেষ করে প্রবীণরা এটা বেশি খায়। তারা বিশ্বাস করে এটা পুষ্টি সমৃদ্ধ এবং তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।  

ইয়াও নামের একজন টিসিএম ফার্মাসিস্ট বলেন, প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী চীনা ওষুধ (টিসিএম) মানব গর্ভফুল প্রধানত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, অথবা অ্যাজমা এবং ব্রঙ্কাইটিসের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়।

আইন বিশেষজ্ঞ ঝাং বো বলেন, চীনে মানব গর্ভফুলের অবৈধ বাণিজ্যকে চিকিৎসা বর্জ্য প্রশাসনের আইনের অধীনে শাস্তি প্রদান করা যেতে পারে, যদিও এ বিষয়ে কোন আইন নেই।

তিনি বলেন, আইন লঙ্ঘনকারীদের সাধারণত জরিমানা করা হয়, যা অবৈধ মুনাফার পরিমাণের পাঁচ গুণের বেশি নয়। সূত্র: দ্য জেনেভা ডেইলি

বাঙলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২১
নিউজ ডেস্ক 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।