ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

উইগুর স্কুল পরিচালকের ১৪ বছরের কারাদণ্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪০ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২১
উইগুর স্কুল পরিচালকের ১৪ বছরের কারাদণ্ড

উইগুর একাডেমির পরিচালক এবং রেডিও ফ্রি এশিয়ার রিপোর্টারের ভাইকে দীর্ঘ ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ২ বছর শিনচিয়াং এর ক্যাম্পে আটক রাখার পর এ সাজা ঘোষণা করা হয়েছে।

আহমেতজান জুমা, যার ভাই মমতজান জুমা আরএফএর উইগুর সার্ভিসের মহাপরিচালক ২০১৭ সালে কাশগরের নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন।  

শিনচিয়াং এর ১৮ উইগুর মুসলিম বন্দিদের মুক্তির উদ্দেশ্যে একটি প্রচারণা চালিয়েছিলেন জুমা। ১৯৯৯ সালে চীন কৌশল পরিবর্তন করে এবং "বোর্ডিং স্কুল" হিসাবে উইগুরদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করে, উগ্রপন্থীকরণকে নিরুৎসাহিত করে এবং দেশকে সন্ত্রাসবাদ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। তবে আরএফএ  এবং অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শিবিরগুলিতে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আটক করা হয়েছে এবং তাদের খাবার ও স্বাস্থ্যের বিষয়ে সামান্যতম নজর দেওয়া হয় না। সেই সাথে নির্যাতন ও ধর্ষণ করা হয়।

গবেষক এবং উইগুরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা আবদুওলি আইয়ুপের মতে, জুমার স্কুলটি প্রচারণার "প্রাথমিক লক্ষ্য" ছিল। তিনি জানান, একই স্কুল থেকে আটককৃত অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে অধ্যক্ষ আবলজন মমাত এবং ভূগোলের শিক্ষক সাজিদিগুল আইয়ুপও রয়েছেন। জুমা স্কুল থেকে অদৃশ্য হয়ে যাওয়া প্রথম ব্যক্তি ছিলেন, যাকে কোনা শেহেরের "মস্তিষ্ক" হিসাবে দেখা হত। আইয়ুপ বলেন, আমি ২০১৭ সালে আহমেতজান জুমার আটক হওয়ার খবর পেয়েছি। তিনি বুদ্ধিদীপ্ত একজন মানুষ ছিলেন। ’

আরএফএ জানায়, তার বাড়িতে এমন একটা উগ্রবাদী বই পাওয়া যায় এবং সম্ভবত সেই কারণে তাকে আটক করা হয়। এর আগেও দু'বার জুমাকে আটক করা হয়েছিল, একবার ২০০৬ সালে আরেকবার ২০০৯ সালের জুলাইয়ে। এরপরেই নভেম্বরে উরমাচি শহর রক্তাক্ত হয়। চীনের পরিসংখ্যান অনুসারে তিনদিনের সহিংসতায় উরমাচিতে ২০০ জন মারা যায় ও আহত হয় ১ হাজার ৭০০ জন।

আইয়ুপ জানিয়েছেন, ৫ জুলাই জুমা আমেরিকা যাওয়ার ভিসা নিতে বেইজিংয়ের মার্কিন দূতাবাসে গিয়েছিল, যার ফলে সে বছরই তাকে আটকে রাখা হয়।  তিনি বলেন জুমা শুধু একজন ভালো শিক্ষক না একজন বন্ধুও ছিলো।

স্কুলে কাজ ছাড়াও, জুমা ছিলেন একজন সাহিত্য অনুবাদক এবং গবেষক। গত বছর তুরস্কে দ্য ওয়ার্ল্ড অ্যান্ড মি, হিস্ট্রি অ্যান্ড মি, সোসাইটি এবং মি এর মতো শিরোনামে তার সিরিজ বই প্রকাশিত হয়। নিখোঁজের সময় জুমা খালেদ হোসাইনের এ থাউজেন্ড স্পেলেন্ডিন সানস এর অনুবাদের কাজে নিয়োজিত ছিলেন যা পরে আর প্রকাশ করা হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২১
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।