তাইপেই: তাইওয়ান ও চীনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা আজ বৃহস্পতিবার বিতর্কিত একটি বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন। আগামী সপ্তাহে দুই দেশের মধ্যে চুক্তিটি স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে।
তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেই শহরে একদিনের এই আলোচনার লক্ষ্য, এই চুক্তির মাধ্যমে বেশ কয়েকটি শিল্প পণ্যের ব্যাপারে সমঝোতায় পৌঁছানো। এটা ‘অর্থনৈতিক সহযোগিতায় কাঠামোগত চুক্তি’ বা ইসিএফএ নামে পরিচিত।
তাইওয়ানের প্রতিনিধি দলের প্রধান কাও কুং-লিয়ান বলেন, ‘আমরা শান্তি, স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধি ও মঙ্গলের জন্য পরিবেশ তৈরি করতে চাই। ’
আশা করা হচ্ছে, তাইওয়ানের প্রায় ৫৩০টা শিল্প পণ্য বিশেষ শুল্ক সুবিধা নিয়ে চীনে রপ্তানির সুবিধা পাবে। বেইজিং দাবি অনুযায়ী তাইওয়ানে রপ্তানি করা পণ্য তালিকায় প্রায় ২৭০টা শিল্প পণ্য যুক্ত করতে যাচ্ছে তারা।
তাইওয়ানের আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠান স্ট্রেইটস এক্সচেঞ্জ ফাউন্ডেশন-এর মহাসিচব কাও কুং-লিয়ান এবং চীনের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এসোসিয়েশন ফর রিলেশনস অ্যাক্রস তাইওয়ান স্ট্রেটস-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ঝেং লিঝং আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।
১৯৪৯ সালে গৃহযুদ্ধের অবসানের পর দেশ দুটি কখনোই আনুষ্ঠানিক শান্তি ঘোষণা করেনি। সরকার পর্যায়ে সম্পর্ক না থাকায় ওই সংস্থা দুটিকে এই চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
৬০ বছর আগে গৃহযুদ্ধ অবসানের পর থেকেই তাইওয়ান ও চীনে পৃথক সরকার ব্যবস্থা চলে আসছে। তবে চীন মনে করে, তাইওয়ান দ্বীপটি চীনের ভূখণ্ড। ওই দ্বীপটি ফিরে পাওয়ার জন্য প্রয়োজন হলে চীন বলপ্রয়োগও করতে পারে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১২০১ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১০
আরআর