ইরানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে চার নারীসহ পাঁচজনকে আটক করেছে ইসরায়েল। আটকরা সবাই ইরান থেকে আসা ইহুদি।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা শাখা শিন বেত তাদের বিরুদ্ধে আদালতে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ আনে। ইসরায়েলে এ ধরনের চরবৃত্তির চেষ্টা গুরুতর অপরাধ। তবে ইরানের হয়ে চরবৃত্তির কাজে সফল হননি পাঁচ অভিযুক্ত। তাদের নাম প্রকাশ করার ক্ষেত্রে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হারতেজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অভিযুক্ত পাঁচজনকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক থেকে বেছে নিয়েছিল ইরানের এজেন্ট। তিনি নিজেকে ‘ইরানের ইহুদি’ বলে পরিচয় দেন এবং অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে তাদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও করেছে ওই এজেন্ট। অভিযুক্তদের দায়িত্ব ছিল মার্কিন দূতাবাসসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ছবি তুলে পাঠানো। এজন্য অর্থও নিয়েছেন তারা।
এদিকে ‘সন্ত্রাসী চক্রান্ত’ ধরে ফেলায় অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা শাখাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। তিনি ইসরায়েলের জনগণকে সতর্ক করে বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো সন্দেহজনক পোস্ট দেখলেই তারা যেন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, একজন অভিযুক্ত নারী তার স্বামীর সঙ্গে গিয়ে তেল আবিবে মার্কিন দূতাবাসের ছবি তুলেছিল। এছাড়া স্থানীয় একটি শপিং সেন্টারের বিস্তারিত তথ্য এবং সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন, তাও ইরানের এজেন্টকে জানিয়েছিলেন তিনি।
ইসরায়েলের গোয়েন্দা শাখা জানিয়েছে, ওই নারী তার ছেলেকে গোয়েন্দা বিভাগে যোগ দিতে উৎসাহিত করেন। এজন্য তার ছেলের ফারসি ভাষার ওপর দখল কতটা তা ইরানের এজেন্ট ফোনে যাচাই করে দেখেছিল। ৫৭ বছর বয়সি আরেক নারী বিভিন্ন কাজ করে পাঁচ হাজার ডলার পেয়েছিলেন। তিনিও তার ছেলেকে গোয়েন্দা বিভাগে যোগ দিতে উৎসাহ দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২২
এনএসআর