তেহরান: পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ রাখার জাতিসংঘের দাবি উপেক্ষা করে ইরান ২০ শতাংশ সমৃদ্ধ ১৭ কেজি ইউরেনিয়াম উৎপাদন করেছে। গতকাল বুধবার দেশটির পরমাণু প্রধান এ ঘোষণা দেন।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচির প্রধান ও দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট আলি আকবর সালেহি বলেন, ‘এক মাসে আমরা সম্ভাব্য ৫ কিলোগ্রাম এ ধরনের ইউরোনিয়াম উৎপাদন করতে পারব। তবে এ নিয়ে আমাদের তাড়াহুড়ো নেই। ’
দেশটির আধা-সরকারি বার্তাসংস্থা আইএসএনএ এ তথ্য জানায়। ইরান গত ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন করে আসছে।
২০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম চিকিৎসা কাজে গবেষণার-চুল্লির জ্বালানি উৎপাদনে ব্যবহার করা যাবে।
এদিকে, পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য ৯০ শতাংশেরও বেশি সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের প্রয়োজন হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রে আশঙ্কা, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।
সালেহি বলেন, ‘ইরানের পরিকল্পনা হচ্ছে, নতুন চারটি চুলি তৈরি করা যা দেশের পরমাণু চিকিৎসার গবেষণার জন্য ব্যবহার করা হবে। একইসঙ্গে দেশ-বিদেশের রোগীদের চিকিৎসার জন্য তেজষ্ক্রিয় আইসোটোপ তৈরিতে চুল্লিগুলো ব্যবহৃত হবে। ’
এদিকে, ইরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপের জন্য দুই সপ্তাহ আগে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি আইন পাশ করা হয়। একইসঙ্গে অন্য দেশগুলোকেও ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার আহ্বান জানানো হয়।
একই পথ ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরানের বিরুদ্ধে নতুনভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এছাড়া, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, ইরানের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক শাস্তির আইন না মানার জন্য অভিযুক্ত প্রায় তিন ডজন ব্যক্তি ও কোম্পানির সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করা হবে।
জাতিসংঘ ইরানের সমস্ত সমৃদ্ধকরণ তৎপরতা বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে। তবে ইরান বলছে, জ্বালানির জন্য শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি চালানোর অধিকার দেশটির রয়েছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১০
এনজে/আরআর