হলুদাভ চোখ। সাদা-ধূসর রঙ মেশানো পালক।
যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের কাছে জনপ্রিয় শখ বার্ড ওয়াচিং বা বার্ডিং। করোনা মহামারিতে এই শখটি আরও জনপ্রিয় হয়েছে। কারণ, এটি খোলা জায়গায় একে অপরের কাছ থেকে বেশ নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে করা যায়।
তুষার পেঁচার সন্ধান পেয়ে ওয়াশিংটনে নানা দিক থেকে ছুটে আসতে থাকেন পাখি পর্যবেক্ষকরা। বলা যায়, এবারের শীতে রীতিমতো তারকা খ্যাতি পেয়ে গেছে তুষার পেঁচাটি। আর রাজধানীর নতুন এই অতিথিকে দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ক্যামেরা নিয়ে জড়ো হচ্ছেন পাখি পর্যবেক্ষকরা। এদেরই একজন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত জ্যাক পিটেলাউড।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এই তুষার পেঁচাটি দেখার ইচ্ছে ছিল। অবশেষে পাখিটির দেখা পেয়ে আনন্দিত তিনি।
ব্রিটিশ লেখক জে কে রাউলিংয়ের হ্যারি পটারের গল্পের ‘হেডউইগ’ সদৃশ এই পেঁচাটি শিশুদের কাছেও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। অনেক শিশু বাবা-মার সঙ্গে পেঁচাটি দেখতে এসেছে। উত্তর মেরুতে থাকা তুষার পেঁচা শীতকালে সাধারণত যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সীমান্ত পর্যন্তই আসে। কিন্তু এই শীতে সেগুলোকে দেখা গেছে ক্যানসাস, মিসৌরি, টেনেসি, নর্থ ক্যারোলিনা ও মেরিল্যান্ডে।
ধারণা করা হয়, সারাবিশ্বে মাত্র ৩০ হাজার তুষার পেঁচা অবশিষ্ট আছে। তাই বিজ্ঞানীরা এটি বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা প্রাণীদের তালিকায় রেখেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২২
এনএসআর