প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ টোঙ্গায় ত্রাণ পাঠাচ্ছে প্রতিবেশী নিউজিল্যান্ড। কিন্তু রাজধানী নুকু’আলোফার প্রধান বিমানবন্দরের রানওয়েতে স্তূপ হওয়া আগ্নেয় ছাইয়ের কারণে সেখানে ত্রাণবাহী বিমান নামতে পারছে না।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ওয়ান নিউজ প্যাসিফিকের প্রতিনিধি বারবারা ড্রেভার এক প্রতিবেদনে বলেছেন, টোঙ্গার ২০০ মানুষ সোমবার (১৭ জানুয়ারি) বিমানবন্দরের রানওয়ে পরিষ্কার করতে শুরু করেন। কিন্তু এভাবে কাজটি করতে অনেক সময় লাগবে।
এর আগে শনিবার (১৫ জানুয়ারি) আগ্নেয়গিরির প্রচণ্ড অগ্ন্যুৎপাতের পর থেকে টোঙ্গায় সম্ভাব্য মানবিক সঙ্কটের আশঙ্কা বাড়ছে। ওই অগ্ন্যুৎপাতের ফলে পাঁচ থেকে দশ মিটার উঁচু সুনামির ঢেউ সৃষ্টি হয়। সাবমেরিন কেবল কেটে যাওয়ায় বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় দেশটি। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ধ্বংসযজ্ঞের পুরো চিত্র পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, সেখানকার টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে অন্তত দুই সপ্তাহ লাগতে পারে।
দেশটির স্থানীয় সরকার ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেছে উল্লেখ করে নিউজিল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার পিটার লুন্ড বলেছেন, সেখানে ভবনগুলোর ক্ষতি হয়েছে। সুনামির ঢেউয়ে প্রচুর ভাঙাচোরা জিনিস এবং বড় পাথর তীরে আছড়ে পড়েছে। তবে রাজধানীর লোকজন স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছেন। ছাইয়ের পুরু আস্তরণ সরানোর চেষ্টা চলছে।
নিউজিল্যান্ডের হাইকমিশনার আরও বলেছেন, অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় একজন ব্রিটিশসহ তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে সবার খবর নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি। এরমধ্যে একজন ব্রিটিশ নাগরিক অ্যাঞ্জেলা গ্লোভার (৫০) তার কুকুরকে বাঁচাতে গিয়ে ভেসে যান। তার মরদেহ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে পরিবার।
ক্ষয়ক্ষতির একটি ধারণা পেতে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া ইতোমধ্যে সেখানে নজরদারি ফ্লাইট পাঠিয়েছে। নিউজিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে বড় ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে। বিশেষ করে টোঙ্গার মূল দ্বীপ টোংগাটাপুর পশ্চিম উপকূলে বেশি ক্ষতি হয়েছে। তবে রেডক্রস বলছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যতটা আশঙ্কা করা হয়েছিল ততটা হয়নি।
প্রসঙ্গত, প্রশান্ত মহাসাগরে ১৭০টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত টোঙ্গার আয়তন সাত লাখ বর্গকিলোমিটার। দেশটির জনসংখ্যা প্রায় এক লাখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২২
এনএসআর