ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সাক্ষাৎকার

বরুড়াকে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা করবেন জসিম উদ্দিন

ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৬
বরুড়াকে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা করবেন জসিম উদ্দিন মেয়র জসিম উদ্দিন পাটোয়ারী/ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কুমিল্লা: দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে কুমিল্লার বরুড়া পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণিতে রূপান্তর করাই আমার মূল লক্ষ্য। গত মেয়াদে তৃতীয় শ্রেণি থেকে এ পৌরসভাকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করেছিলাম।

এবার প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করবো।

বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় নিজের এ দৃঢ়প্রতিজ্ঞার কথা জানান বরুড়ার পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র জসিম উদ্দিন পাটোয়ারী।

আলাপকালে জসিম বলেন, পৌরসভার সব স্তরের মানুষের সহযোগিতা ও পরামর্শ নিয়ে নাগরিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে এ পৌরসভার আরো আধুনিকায়ন করবো।

কুমিল্লার ৬টি পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীদের মধ্যে একমাত্র বরুড়া থেকেই মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন  জসিম উদ্দিন। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাহাদুরুজ্জামানকে পরাজিত করে পুনর্নির্বাচিত হন তিনি।

জসিম উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি ৯০’র দশকে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে  জড়িত হন। ২০০১ সালে বরুড়া থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। পরে ‍২০১০ সালে থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

পৌর নির্বাচনে নিজের পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে জসিম বলেন, আমি তো পৌরসভার বর্তমান মেয়র ছিলাম। তাই কোনো পরিকল্পনা করতে হয়নি। জনগণের পাশে ছিলাম, সেবা করেছি। পৌরবাসী আমার প্রতি আস্থাশীল ছিলেন। দলও আমার প্রতি আস্থা রেখেছে। তাই পৌরবাসী আবার আমাকে সুযোগ দিয়েছেন।

দলীয় প্রতীকে নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে পেরে আমি নিজেকে অত্যন্ত ভাগ্যবান মনে করছি। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে এমপি, মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী হন। আমরা এবার সেই প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ পেলাম। এটা গর্বের বিষয়।

দ্বিতীয় মেয়াদে নিজের পরিকল্পনার কথাও জানান জসিম উদ্দিন। বলেন, বরুড়া বর্তমানে দ্বিতীয় শ্রেণির পৌরসভা। গত মেয়াদে আমি এটিকে তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করেছি। আগামী ৫ বছরের মধ্যে এটিকে আমি প্রথম শ্রেণিতে রূপান্তরিত করতে চাই।

তিনি বলেন, পৌরসভার উন্নয়নের লক্ষে আমি তিনটি প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছি। আশা করি চলতি বছরের জুনের মধ্যে প্রকল্পগুলো পেয়ে যাব। সাড়ে ৩ কোটি টাকার ৮টি উন্নয়ন প্রকল্প এখনো আটকে আছে। আশা করি এ প্রকল্পগুলোও পেয়ে যাব।

এসব প্রকল্প পেলে পৌর এলাকার ১৫ কিলোমিটার রাস্তা পাকা হবে, ড্রেনেজ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন হবে, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বনায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও সড়কে আলোকসজ্জা করা হবে বলে তিনি জানান।  

যেসব এলাকায় কম ভোট পেয়েছেন সেসব এলাকার উন্নয়নে আপনার কৌশল কি হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে জসিম উদ্দিন বলেন, আমি ১৪টি ভোটকেন্দ্রের সবগুলোতেই সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছি। অর্থাৎ সবার ভালবাসা আমি পেয়েছি। যেখানে উন্নয়ন দরকার, সেখানেই উন্নয়নের জন্যই কাজ করবো। ভোটের সঙ্গে উন্নয়নের কোনো সর্ম্পক নেই।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সংসদ সদস্যদের চেয়ে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের দায়বদ্ধতা অনেক বেশি। সাংসদরা আইন প্রণয়ন করেন। আমরা জনগণের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। তাই আমাদের দায়বদ্ধতা অনেক বেশি।

আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, আগামী ৫ বছর যদি মানুষের সুখে-দুঃখে থাকতে পারি, চাহিদামতো নাগরিক সেবা প্রদান করতে পারি তাহলে জনগণ চাইলে এবং দল সমর্থন করলে নির্বাচন করবো।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৬
এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।