ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সাক্ষাৎকার

গৌরনদীকে মডেল পৌরসভা করতে চান হারিছুর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৬
গৌরনদীকে মডেল পৌরসভা করতে চান হারিছুর হারিছুর রহমান

বরিশাল: একজন প্রতিনিধি নয়, সেবক হিসেবে সাধারণ মানুষের জন্য কাজে করে যাবেন। জনগণের সেবা করার প্রত্যাশা নিয়ে তিনি মেয়র হয়েছেন।

জনসেবার মাধ্যমেই গৌরনদীকে মডেল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলবেন।

সম্প্রতি বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে নিজের কাঙ্ক্ষিত এ লক্ষের কথা জানান বরিশালের গৌরনদী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হারিছুর রহমান।

হারিছুর রহমান বলেন, গত মেয়াদে প্রথমবার মেয়র নির্বাচিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে এর উন্নয়নে কাজ করেছি। জনগণের ভালোবাসা পেয়ে আবারো বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হলাম।

তিনি বলেন, জনগণ সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন, সেবা করে যাচ্ছি। ঘুম থেকে উঠে পৌরবাসীদের সঙ্গে প্রথমে দেখা হয়। আগেও আমি সাধারণ মানুষের পাশে ছিলাম, এখনো আছি। আমার কাছে, আমার বাড়িতে আসতে কাউকে বাধা পেতে হয় না।

পৌরসভার সমস্যা সম্পর্কে তিনি বলেন, বর্তমানে সমস্যা হলো ড্রেনেজ ব্যবস্থা, জলাবদ্ধতা। কিছু রাস্তাঘাটের সংস্কার ও নির্মাণের প্রয়োজন রয়েছে। তবে আগের মেয়াদে এসব কাজের জন্য এলজিইডিতে কাগজপত্র ও প্রকল্প দাখিল করেছি। যেসব প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষে বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আবর্জনা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তিনি বলেন, পৌরসভার বাসা-বাড়ির ময়লা অপসারণের লক্ষে এখনো প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। তবে হাট-বাজার বা প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে রাখা হয়, পরে সেখান থেকে আমাদের ট্রাক গিয়ে ময়লা নিয়ে আসে।

পৌরসভার উন্নয়ন ও ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে  গৌরনদীকে উন্নত আধুনিক মডেল পৌরসভা হিসেবে দেখতে চাই। ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে আমরা শতভাগ বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। পৌরসভার নিজস্ব অনলাইন ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে থেকে জন্মসনদ, লাইসেন্সসহ বিভিন্ন কাজের ফরম পাওয়া যায়। তথ্যসেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সমস্ত বিলিং-ভাউচার ডিজিটাল করা হয়েছে। পৌরসভার নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে। আমাদের সব কাজ নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জনগণ দেখতে পারেন।

শিশুদের সুবিধা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিশুদের জন্য খেলাধুলাসহ সবকাজে সহায়তা করা হচ্ছে। যেসব বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হচ্ছে সেগুলোতে সর্বরকম সহায়তা আমার থাকে।

গ্রামীণ জনপদের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হারিছুর রহমান বলেন, পৌরসভার মধ্যে ১৭টি মৌজা এখনো গ্রাম। গ্রামীণ জনপদের দরিদ্র মানুষের
জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা যেসব উদ্যোগ নিয়েছেন সে উদ্যোগকে যথাযথভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে হারিছুর রহমান ১৯৮৪ সালে স্থানীয় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন।   পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন।

২০০৬ সালে গৌরনদী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন তিনি। ২০১২ সালে গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

এরআগে ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো পৌরসভা মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো দলীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে আবারো মেয়র নির্বাচিত হন হারিছুর রহমান।

আওয়া লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি পান ১৮ হাজার ৯৫৯ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী সফিকুর রহমান পান ৭৭৬ ভোট।

চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি তার প্রথম মেয়াদ শেষ হয়। পরদিন দ্বিতীয়বারের মতো মেয়রের দায়িত্ব নেন হারিছুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৬
এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।