নওগাঁ: নওগাঁ শহরের কুমাইগাড়ী মহল্লায় জঙ্গল পরিষ্কার করতে গিয়ে প্রাচীনকালের একটি মসজিদের ভগ্নাবশেষ পাওয়া গেছে।
সেখানে গিয়ে দেখা যায়, এক সময় মসজিদটির তিনটি গম্বুজ ছিল।
স্থানীয়দের ধারণা, মুঘল আমলে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। কালের বিবর্তনে এটি আজ পরিত্যক্ত। তখন এ অঞ্চলে বসতিও ছিল খুব কম। তাই দীর্ঘদিন মানুষের পদচারণা না থাকায় জঙ্গলে ঢাকা পড়ে মসজিদটি।
বর্তমানে মাসুম বিল্লাহ নামে এক ব্যক্তি মসজিদটি দেখাশোনা করছেন। তিনি জানান, শহরের একটি ভাড়া বাসায় এতিম খানা চালাচ্ছিলেন তিনি। স্থানীয় ভূমি অফিস থেকে জানতে পারেন যে এখানে পরিত্যক্ত একটি জমি আছে। এরপর খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন পরিত্যক্ত জমিটির মালিক জিন্নাত মোস্তাফি। তার সঙ্গে যোগযোগ করলে তিনি মাসুম বিল্লাহকে জঙ্গলে ঢাকা জায়গাটি পরিষ্কার করে এতিম খানা নির্মাণের অনুমতি দেন। অনুমতি পেয়ে জঙ্গল পরিষ্কার করতে গিয়ে এ মসজিদটির ভগ্নাবশেষ দেখতে পান তিনি।
মাসুম আরও জানান, সংস্কার করা হবে প্রাচীন এ মসজিদটি। এখন এখানে এতিমখানা পরিচালনার পাশপাশি নামাজ আদায়ের ব্যবস্থাও থাকবে।
জিন্নাত মোস্তাফি জানান, তিনি ও জাকারিয়া পিন্টু নামে দুই ব্যক্তি পৈত্রিক সূত্রে এ জমির মালিক। ১৫ শতাংশ জমি মসজিদ ও কবরস্থানের নামে ওয়াকফ করে দেওয়া হয় অনেক আগেই। বর্তমানে মসজিদটি সংস্কার ও এতিম খানা নির্মাণের জন্য মাসুম বিল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এতদিন জঙ্গলে ঢাকা ছিল জায়গাটি।
ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের কাস্টোডিয়ান ফজলুল করিম আরজু জানান, এরই মধ্যে এ মসজিদটি সম্পর্কে আমরা শুনেছি। শিগগিরই আমরা সার্ভে চালাব। তবে এর আগে নওগাঁ জেলায় এ রকম কয়েকটি মসজিদের সন্ধান মিলেছে। আমরা সেগুলো সার্ভে করে মনে হয়েছে, মুঘল বা সুলতানি আমলে এসব মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। তবে একটা বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে, এগুলো অনেক পুরোনো স্থাপনা। আশা করি, সার্ভের মধ্য দিয়ে এর সঠিক তথ্য জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২২
এসআই