ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

তারাবির নামাজের জন্য প্রস্তুত রাঙামাটির ৫৪৮ মসজিদ

মঈন উদ্দীন বাপ্পী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২১ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২৩
তারাবির নামাজের জন্য প্রস্তুত রাঙামাটির ৫৪৮ মসজিদ

রাঙামাটি: আরবি বছেরর হিসেবে নবম মাস হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। প্রতি বছর ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতা রোজা পালনের জন্য অপেক্ষায় থাকেন।

আর এর বিশেষ কারণ হচ্ছে এ মাসের ফজিলত অন্য মাসের চেয়ে হাজারগুণ বেশি।

রমজান একটি ফারসি শব্দ। রোজার আরবি শব্দ হচ্ছে সত্তম যাকে বহু বচনে সিয়াম বলা হয়।

সারা দেশের মতো পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে পবিত্র মাহে রমজানের আমেজ দেখা দিয়েছে। এ অঞ্চলের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা রোজা রাখা এবং তারাবির নামাজের জন্য প্রস্তুতি শেষ করে ফেলেছেন।

সারাদিনের রোজা রেখে তারাবির নামাজ পড়ার জন্য মসজিদ কমিটির নেতারা মসজিদগুলোকে পরিষ্কার-পরিছন্ন করেছেন। বৈদ্যুতিক সমস্যাসহ নানা সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। কেননা এ মাসে মসজিদে মুসল্লির সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার পাশাপাশি অনেক ধর্মপ্রাণ মানুষ তারাবির নামাজ আদায় করবেন। তাই তারাবি পড়াতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কোরআনে হাফেজদের।

ধর্মীয় বিধি-বিধান মেনে এসব হাফেজরা ফজিলতপূর্ণ তারাবির নামাজ জামাতে পড়াবেন। যে কারণে বেশ কয়েক মাস আগে থেকে তারা প্রস্তুতি শুরু করে তারাবি পড়ানোর জন্য নিজেদের তৈরি করে নিয়েছেন।

কাঠাতলী জামে মসজিদের হাফেজ তৈয়ব আলী বাংলানিউজকে বলেন, গত ১০ বছর ধরে কাঠালতলী জামে মসজিদে তারাবি নামাজ পড়াই। ইনশাল্লাহ এ বছরও তারাবি পড়াবো। যার জন্য বেশ কয়েক মাস ধরে আমি প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করছি একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম তথা কোরআনে হাফেজ হিসেবে আমি আমার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, হাদিয়া নিয়ে চিন্তা করি না। মসজিদ কমিটি যা দেয় তাতে খুশি। মসজিদে আসা মুসল্লিরা খুশি হলে আল্লাহও খুশি হবেন।

ইসলামী ফাউন্ডেশন রাঙামাটি জেলা কার্যালয় থেকে জানা গেছে, জেলায় ৫৪৮টি মসজিদ আছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ মসজিদে খতমে তারাবি এবং কিছু মসজিদে সুরা তারাবি নামাজ আদায় হবে। পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে তারাবি নামাজ আদায়ে মসজিদগুলো প্রস্তুতি শেষ করে ফেলেছে। পরিষ্কার-পরিছন্ন, বৈদ্যুতিক লাইন সংস্কার করে নেওয়া হয়েছে।

রাঙামাটির প্রাচীন মসজিদ নিউ রাঙামাটি জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ, ক্বারী মাওলানা নঈম উদ্দিন আল কাদেরী বলেন, ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা রোজা পালনের জন্য মুখিয়ে থাকেন। কখন রোজ আসবে তারা সেই অপেক্ষায় থাকেন। আল্লাহর নির্দেশ তামিল করতে তারা অপেক্ষা করেন।

মাওলানা আরও বলেন, প্রতি বছরের মতো এ বছরও পবিত্র মাহে রমজান এসে পড়েছে। মুসলিমরা মহান খোদা পাকের নির্দেশ মেনে রোজ রাখবেন। বেশি বেশি ইবাদত বন্দেগী করবেন। অন্যান্য ইবাদতের পাশাপাশি পুরুষরা মসজিদে তারাবির নামাজ আদায় করবেন। তারাবি নামাজ আদায়ের জন্য আমরা সব প্রস্তুতি শেষ করে ফেলেছি। মসজিদ পরিষ্কার-পরিছন্ন করা হয়েছে। তারাবি আদায়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তিনজন হাফেজ।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন রাঙামাটি জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ ইকবাল বাহার চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে আমরা সব ধরেনর প্রস্তুতি নিয়েছি। মসজিদগুলোতে যাতে সুষ্ঠুভাবে তারাবি নামাজ আদায় হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করা হয়েছে।

তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, খাদ্য-সামগ্রীর অতিরিক্ত দাম বাড়াবেন না। রোজাদাররা যাতে কষ্ট না পায় সেদিকে খেয়াল রাখুন। বৃহৎ মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে রোজার পবিত্রতা রক্ষায় দিনের বেলায় হোটেলগুলোকে সংযত থাকতে অনুরোধ জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।