ইসলামের প্রচার-প্রসার ও ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠায় হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর পর সাহাবিদের অবদান সবচেয়ে বেশি। আল্লাহতায়ালা তাদের সচ্চরিত্র সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের আয়াত নাজিল করে তাদের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করেছেন।
ইরশাদ হয়েছে, ‘মুহাজির ও আনসারগণের মধ্যে অগ্রবর্তী সাহাবিগণ এবং কল্যাণকর্মের মাধ্যমে তাদের অনুসারীগণের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট হয়েছেন। আর তারাও তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন। ’ –সূরা আত তওবা: ১০০
সাহাবিদের প্রশংসায় আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে তারাই সবচেয়ে ভালো মানুষ যাদের মাঝে আমি প্রেরিত হয়েছি। অন্য বর্ণনায়, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সবচেয়ে সেরা মানব আমার সাহাবাগণ।
সামগ্রিক বিচারে সাহাবারা সকলে অন্য সকল উম্মত অপেক্ষা উত্তম। তবে সাহাবারা নিজেরা কিন্তু সকলে একই স্তরের নন। বরং কেউ কেউ মর্যাদায় অন্যদের চেয়ে উত্তম। তাদের নিজেদের মধ্যে মর্যাদার দিক তেকে বিভিন্ন শ্রেণী-বিন্যাস ও স্তর রয়েছে।
সাহাবাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হচ্ছেন চার খলিফা। তারা হলেন, হজরত আবু বকর সিদ্দীক (রা.), হজরত উমর (রা.), হজরত উসমান (রা.) ও হজরত আলী (রা.)।
এদের পরবর্তী স্তরে রয়েছেন অবশিষ্ট আশারায়ে মুবাশশারাগণ। আরবি আশারা শব্দের অর্থ ১০। আর মুবাশশারা শব্দের অর্থ সুসংবাদপ্রাপ্ত। অর্থাৎ যারা দুনিয়ায় বেহেশতের সুসংবাদ পেয়েছে তাদের আশারায়ে মুবাশশারা বা বেহেশতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ১০ সাহাবি বলা হয়।
বেহেশতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ১০ সাহাবি হলেন-
হজরত আবু বকর সিদ্দীক (রা.)
হজরত উমর (রা.)
হজরত উসমান (রা.)
হজরত আলী (রা.)
হজরত আবু উবাইদাহ বিন জাররাহ (রা.)
হজরত সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস (রা.)
হজরত আবদুর রহমান বিন আওফ (রা.)
হজরত যুবাইর বিন আওম (রা.)
হজরত তালহা বিন উবায়দুল্লাহ (রা.)
হজরত সাঈদ বিন যায়দ (রা.)
এই ১০ জন সাহাবি সম্পর্কে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তাদের মর্যাদা সম্পর্কে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, আবু বকর জান্নাতি, উমর জান্নাতি, উসমান জান্নাতি, আলী জান্নাতি,তালহা জান্নাতি, যুবাইর জান্নাতি, আবদুর রহমান জান্নাতি, সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস জান্নাতি, সাঈদ ইবনে যায়েদ জান্নাতি এবং আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ (রা.)। -তিরমিজি
বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২৩
এসআই