আমাদের দোরগোড়ায় শীতকাল প্রায় এসেই গেছে। আর হাদিসে শরিফে এ শীতকালকে ইবাদতের বসন্তকাল বলা হয়েছে।
শীতের রাতে মুমিনদের জন্য মহান প্রভুর দরবারে নিজেকে সঁপে দেওয়ার অবারিত সুযোগ থাকে। এই সময় শেষ রাতে তাহাজ্জুদ নামাজের সওয়াব ও উপকার সীমাহীন। তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত ও গুরুত্বের ব্যাপারে কোরআন ও হাদিসে অসংখ্য বর্ণনা এসেছে। হজরত ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু বলতেন, ‘শীতকালকে স্বাগতম। কেননা তা বরকত বয়ে আনে। শীতের রাত দীর্ঘ হয়, যা কিয়ামুল লাইলের (রাতের নামাজ) সহায়ক এবং দিন ছোট হওয়ায় রোজা রাখতে সহজ’। (শুয়াবুল ঈমান, বাইহাকি, ৩৯৪০)
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনুল কারিমে রাতের ইবাদতের কথা বলেছেন। বর্ণিত হয়েছে, ‘রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ পড়বে, যা তোমার জন্য এক অতিরিক্ত ইবাদত। আশা করা যায় তোমার প্রতিপালক তোমাকে ‘মাকামে মাহমুদে’ পৌঁছাবেন’। (সূরা: বনি ইসরাইল, আয়াত: ৭৯)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তারা ধৈর্যধারণকারী, সত্যবাদী, নির্দেশ পালনকারী, সৎপথে ব্যয়কারী এবং শেষ রাতে ক্ষমা প্রার্থনাকারী’। (সূরা: আলে ইমরান, আয়াত: ১৭)
রাতের ইবাদত সম্পর্কে হজরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহুর সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকাকালে পৃথিবীর নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করে ঘোষণা করতে থাকেন; কে আছে এমন, যে আমাকে ডাকবে? আমি তার ডাকে সাড়া দেব। কে আছে এমন, যে আমার নিকট চাইবে? আমি তাকে তা দেব। কে আছে এমন, যে আমার নিকট ক্ষমা চাইবে? আমি তাকে ক্ষমা করব’। (বুখারি, হাদিস: ১১৪৫)
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২৩
জেএইচ