মুমিন মুসলমানের প্রতিটি কাজকর্মই ইবাদত, যদি তা মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি কামনার মাধ্যমে করা হয়। সারাদিনের কাজ কর্ম শেষে মানুষ যখন রাতে ঘুমাতে যায় তখন বিশেষ কিছু আমল বা দোয়া পড়তে হয়; তাতে যেন ঘুমটিও ইবাদতে পরিণত হয়।
দোয়াগুলোর ফজিলত অনেক বেশি। এসব দোয়া বান্দার মর্যাদা আরও বহু গুণে বাড়িয়ে দেয় এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভ সহজ হয়।
(১) ঘুমানোর আগে সূরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত তেলাওয়াত করা, যা আয়াতুল কুরসি নামে পরিচিত। বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘তুমি যখন শয্যা গ্রহণ করবে, তখন আয়াতুল কুরসি পড়বে। তাহলে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে তোমার জন্য একজন রক্ষক থাকবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান তোমার কাছে আসতে পারবে না’। (বুখারি)
(২) ঘুমানোর আগে সূরা বাকারার শেষ দুইটি আয়াত তথা ২৮৫-২৮৬ নম্বর পাঠ করলে অনেক কল্যাণ সাধিত হয়। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি রাতে সূরা বাকারার শেষ দুইটি আয়াত তেলাওয়াত করবে, তার জন্য তা (সব সমস্যার সমাধানে) যথেষ্ট হবে’। (বুখারি ও মুসলিম)
(৩) একইভাবে ঘুমানোর সময় সূরা মুলক পাঠ করা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। হজরত জাবির (রা.) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (সা.) সূরা মুলক না পড়ে ঘুমাতেন না’। (মিশকাত)
(৪) সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ ও আল্লাহু আকবর পড়াও সুন্নত। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘আমি কি তোমাদের উত্তম জিনিসের সন্ধান দেবো না? যখন তোমরা বিছানায় যাবে, তখন ৩৪ বার ‘আল্লাহু আকবর’, ৩৩ বার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ এবং ৩৩ বার ‘সুবহানাল্লাহ’ বলবে। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম প্রতিদান’। (বুখারি)
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২৩
জেএইচ