ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

সাগর তীরে দৃষ্টিনন্দন ‘অষ্টকোণা মসজিদ’

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৪
সাগর তীরে দৃষ্টিনন্দন ‘অষ্টকোণা মসজিদ’

কয়েক শ’ গজ দূরেই কৃষ্ণসাগরের অথৈ নীলাভ জলরাশি। সাগরের শোঁ শোঁ আওয়াজ মসজিদ থেকে অনায়াসেই শোনা যায়।

নির্মাণশৈলীর অভিনবত্বের পাশাপাশি সৈকতের কিনারায় হওয়ায় মসজিদটি সবদিক থেকেই নয়নাভিরাম। দর্শনার্থী ও পর্যটকদের বেশ টানে মসজিদের সৌন্দর্য-আভা।

স্থানীয়দের কাছে মসজিদটি ‘অষ্টকোণা মসজিদ’ নামে পরিচিত। এমন দৃষ্টিনন্দন ও মুগ্ধকর দৃশ্যের মসজিদ তুরস্কের পদুযজে প্রদেশে অবস্থিত।

এটির অফিসিয়াল নাম ‘আকচাকোজা মার্কাজ মসজিদ’। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি স্থাপত্যশৈলীর জন্য মসজিদটি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তুর্কি যাযাবর উপজাতিগুলোর ঐতিহ্যবাহী তাবু ‘ওতা’র নকশা অবলম্বনে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে।

১৯৮৯ সালে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তুরস্কের বিখ্যাত শিল্পী এরগুন সুবাশির নকশা করেন। দীর্ঘ পনের বছর পর ২০০৪ সালে মুসল্লিদের মসজিদটি খুলে দেওয়া হয়।

সেলজুক যুগের ঐতিহ্য-শিল্প তুলে ধরতে তখনকার পুরাতন তাবুর নকশা অবলম্বন করে মসজিদটির নকশা করা হয়েছে। মসজিদটির ভেতরের অংশের আয়তন এক হাজার ৩০০ বর্গ কিলোমিটার। বাইরের আঙ্গিনার আয়তন ৫০০ মিটার। মসজিদের দুইটি অংশ মিলে ৫০০ হাজার মুসল্লি অনায়াসে নামাজ পড়তে পারেন।

আকচাকোজা মারকাজ মসজিদের ভবন ও সহায়তা ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট মুরাদ বেইয়িক বলেন, এমন মসজিদ শুধু তুরস্কে বিরল নয়। বরং পুরো বিশ্বে এমন স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত মসজিদ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ইতোমধ্যে এটি পর্যটকদের বেশ আকর্ষণ করেছে। আর শুধু মুসলিমরা নয়, বরং অন্য ধর্মের মানুষও এটি পর্যবেক্ষণে আসছে।

বেইয়িক আরও বলেন, মসজিদের ভেতরে কোনো পিলার বা স্তম্ভ নেই। ফলে মুসল্লি কিংবা দর্শক যেকোনো দরজা দিয়ে প্রবেশ করলেই মসজিদের অভ্যন্তরের পুরোটা দৃশ্য দেখতে পাবে। মেঝে থেকে মসজিদের ছাদের দূরত্ব বেশ উঁচুতে। ফলে এটা আলাদা একটা সৌন্দর্য সৃষ্টি করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।