ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

বায়তুল মোকাররমে বসুন্ধরার ইফতার পেয়ে খুশি রোজাদাররা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৬ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৪
বায়তুল মোকাররমে বসুন্ধরার ইফতার পেয়ে খুশি রোজাদাররা রমজান মাসব্যাপী বায়তুল মোকাররমে রোজাদারদের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ | ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে রোজাদারদের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। প্রথম রোজা থেকে প্রতিদিন তিন হাজার রোজাদারকে ইফতার করানো হচ্ছে।

ইফতার পেয়ে ব্যাপক খুশি রোজাদাররা।

বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সায়েম সোবহান আনভীরের পক্ষ থেকে এই ইফতার বিতরণ করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকেলে বায়তুল মোকাররম মসজিদে দশম রোজায় প্রতিদিনের মতো ইফতার বিতরণ করা হয়। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির সভাপতি হাজী মো. ইয়াকুব আলী এবং সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানিক উপস্থিত থেকে রোজাদারদের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করেন।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির সভাপতি হাজী মো. ইয়াকুব আলী বলেন, রোজাদারদের মাঝে ইফতার বিতরণ বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের একটি মহৎ উদ্যোগ। এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ছিন্নমূল মানুষ থেকে রিকশাচালক, ধনী-গরিব সবাই ইফতার খেয়ে সন্তুষ্ট। সায়েম সোবহান আনভীরের এমন মহৎ উদ্যোগ যদি অনান্য ব্যবসায়ী গ্রুপ গ্রহণ করতো তাহলে রোজাদারদের জন্য ভালো হতো।



বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানিক বলেন, প্রথম রমজান থেকেই বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইফতার বিতরণ করা হচ্ছে। বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে প্রতিদিন তিন হাজার রোজাদারকে ইফতার করানো হচ্ছে। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে রোজাদারদের ইফতারে যেন কোনো প্রকার সমস্যা না হয়, সে জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর সুন্দর উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

সময়ের অভাবে বাড়িতে ইফতার করতে যেতে না পেরে বায়তুল মোকাররমে ইফতার করতে এসেছেন প্রকৌশলী এস কে মো. শাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, রোজাদারকে ইফতার করানো একটি মহৎ ও নিঃস্বার্থ উদ্যোগ। আমি বসুন্ধরা গ্রুপকে এ জন্য মন থেকে ধন্যবাদ জানাই।

রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ নামে আরও এক রোজাদার বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের এই উদ্যোগ সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে বিশেষ করে গরিব মানুষের ঠিকমতো ইফতারের সামর্থ্য নেই। সেখানে বসুন্ধরা গ্রুপের এমন উদ্যোগের ফলে ধনী-গরিব সবাই একসাথে বসে ইফতার করছে, যা অন্যান্য ব্যবসায়ীদের জন্যও অনুকরণীয়। আমি বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ বসুন্ধরা গ্রুপের সবার জন্য মন থেকে দোয়া ও তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৪
আরকেআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।