ঢাকা: ঢাকার সবচেয়ে বড় ইফতার আয়োজনের কথা এখন অনেকেরই জানা। রমজানে প্রতিদিন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে এই ইফতার আয়োজন হয় বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে।
এর চেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো, এখানে ধনী-দরিদ্রের কোনো পার্থক্য করা হয় না। সবার জন্য সমান আয়োজন, সমান ব্যবস্থা। চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে আশপাশের দোকানি, পথচারী, ভিক্ষুক, ভবঘুরে সবাই পাশাপাশি বসে ইফতার করছেন। একই খাবার। এখানে ইফতারে যোগ দেওয়া সবাই পান সমান মর্যাদা। এভাবে সমাজে সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠার শিক্ষা দিয়ে চলেছে বসুন্ধরা গ্রুপের ইফতার।
সোমবার (২৫ মার্চ) আসরের নামাজের পর মসজিদের পূর্ব পাশে গিয়ে দেখা যায়, নামাজ শেষ করে অনেকেই আর বাইরে যাননি। বয়ান হচ্ছিল। মুসল্লিরা বয়ান শুনছিলেন। হামদ-নাতও চলছিল। এভাবে সময় যত গড়াচ্ছিল, আগতের সংখ্যা তত বাড়ছিল।
আশপাশের দোকানের কর্মচারী, গুলিস্তান এলাকায় কেনাকাটা করতে আসা সাধারণ মানুষ, ভিক্ষুক, ভবঘুরে, এতিম- মিসকিন সবাই অপেক্ষা করছিলেন ইফতারের সময়টার জন্য। ইফতারি পরিবেশনসহ অন্যান্য কাজেও অংশ নিচ্ছিলেন তারা। দেখতে দেখতে মাগরিবের আজান হয়। শুরু হয়ে যায় ইফতারি গ্রহণ।
এ বিষয়ে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির সভাপতি হাজী ইয়াকুব আলী বলেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সায়েম সোবহান আনভীরের পক্ষ থেকে প্রতিদিন বায়তুল মোকাররমে ইফতার বিতরণ করা হয়।
তিনি বলেন, মুসল্লিদের ইফতারের এ আয়োজন সুন্দরভাবে ব্যবস্থাপনা করতে আমরা নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বায়তুল মোকাররমের বরকতময় ইফতারে ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকেও মানুষ অংশ নেন। নিয়মিত ইফতারে এত মানুষের অংশগ্রহণের সুযোগ কম জায়গাতেই রয়েছে। এ কারণে জাতীয় মসজিদের এই ইফতার অনুষ্ঠান রোজাদারদের বিশেষ আগ্রহের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হাজী ইয়াকুব আলী বলেন, এখানে ধনী-দরিদ্রের কোনো পার্থক্য করা হয় না। সবার জন্য সমান আয়োজন। এভাবে সমাজে সাম্য, ভ্রাতৃত্ব ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার শিক্ষা দিয়ে চলেছে বসুন্ধরা গ্রুপের ইফতার।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৪
এইচএমএস/এইচএ/