ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

মসজিদে অহেতুক গল্পগুজব জায়েজ নেই

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২৪
মসজিদে অহেতুক গল্পগুজব জায়েজ নেই

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমরা মসজিদের প্রবেশ করার সময় এই দোয়াটি পাঠ করবে। দোয়াটি হলো- اَللّهُمَّ افْتَحْ لِىْ أَبْوَابَ رَحْمَتِك

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাফতাহলি আবওয়াবা রাহমাতিক।


অর্থ: হে আল্লাহ! আমার জন্য রহমতের দরজা খুলে দাও।

আর বের হওয়ার সময় বলবে- اَللّهُمَّ اِنِّىْ أَسْئَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন ফাদলিক।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছ থেকে হালাল রিজিক চাই। -সহিহ মুসলিম

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) অন্য হাদিসে বলেন, যদি তোমরা কোনো মানুষকে মসজিদের ভেতরে হারানো বস্তু খুঁজতে দেখ (অর্থাৎ সে ঘোষণা করছে, আমার অমুখ জিনিসটি কেউ পেয়ে থাকলে দিয়ে দেবেন) তখন তোমরা জবাবে বলবে, আল্লাহ তোমার জিনিসটা আর ফিরিয়ে না দিক। কেননা, মসজিদ তো এসবের জন্য তৈরি হয়নি।

হাদিসে আরও বলা হয়েছে, হজরত রাসূল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি দুর্গন্ধযুক্ত খাবার খেয়ে, সে যেন মুখ পরিষ্কার করা ব্যতীত মসজিদে না যায়। কারণ মানুষের মতো ফেরেশতারাও দুর্গন্ধ দ্বারা কষ্ট পায়। যেমন কাঁচা রসুন, পেঁয়াজ, বিড়ি-সিগারেট ইত্যাদি। এসব দুর্গন্ধযুক্ত খাবার খাওয়ার পর যদি মেসওয়াক করে তাহলে গন্ধ চলে যায়।

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, আমার সামনে আমার উম্মতের ভালো-খারাপ সব আমল পেশ করা হয়েছে। ভালো আমলসমূহের মধ্যে এটাও আছে যে, রাস্তার মধ্যে কোনো কষ্টদায়ক বস্তু থাকলে তা সরিয়ে দেওয়া। অর্থাৎ কলার খোসা, পাথর, কাঁটা ইত্যাদি সরিয়ে দেওয়া। যাতে পথিকদের কষ্ট না হয়। আর খারাপ আমলসমূহের মধ্যে এটাও আছে যে, মসজিদে থুথু ইত্যাদি ময়লা-আবর্জনা থাকা সত্ত্বেও পরিষ্কার না করা। -সহিহ মুসলিম 

হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) পাড়ায় পাড়ায় মসজিদ নির্মাণ করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং সেগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং তাতে সুগন্ধি ছড়িয়ে দিতেও নির্দেশ দিয়েছেন। -সুনানে আবু দাউদ ও ইবনে মাজা

এখন তো দেখা যায়, অনেক মসজিদে ঝকঝকে টাইলস, শানদার ঝাড়বাতি। কিন্তু আশেপাশের পরিবেশ খুবই নোংরা। বিষয়টি খেয়াল করা দরকার।  

হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, মানুষ যে নিয়তে মসজিদে গমন করে, তা-ই পায়। অর্থাৎ সওয়াব পাওয়ার উদ্দেশ্যে গেলে সওয়াব পাবে আর যদি জাগতিক কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে যায়, তার গোনাহ হবে। এজন্য ঘর থাকা সত্ত্বেও শুধু বিশ্রাম নেওয়ার উদ্দেশ্যে মসজিদে যাওয়া এবং সেখানে গিয়ে অহেতুক গল্পগুজবে মেতে ওঠা জায়েজ নেই।

রাসূলুল্লাহ (সা.) মসজিদে বসে অশ্লীল কবিতা পাঠ করা এবং বেচাকেনা করতে নিষেধ করেছেন। -সুনানে আবু দাউদ ও তিরমিজি

অন্য হাদিসে বলা হয়েছে, কাউকে মসজিদের ভেতরে বেচাকেনা করতে দেখলে তাকে বলো- ‘আল্লাহ তোমার ব্যবসাকে লাভবান না করুন। ’ –তিরমিজি

নবী করিম (সা.) বলেন, মানুষ এমন একটা যুগে উপনীত হবে, যে যুগে মানুষ মসজিদে বসে দুনিয়াবি বিষয়সমসূহ আলোচনা করবে। তাদের সঙ্গে কখনও বসবে না, কারণ তাদের প্রতি আল্লাহ অসন্তুষ্ট থাকবেন। -বায়হাকি

বাংলাদেশ সময়: ১১০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২৪
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।