হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নতের অনুসরণ ও কাজের ক্ষেত্রে নিয়তের একনিষ্ঠতাই হলো মানুষের সফলতার মূলমন্ত্র। তাই জীবনের সর্বক্ষেত্রে সুন্নতের অনুসরণ-অনুকরণ করতে হবে।
বাংলাদেশ সফররত দারুল উলুম দেওবন্দের (ভারত) মহাপরিচালক আল্লামা মুফতি আবুল কাসেম নোমানী আজ (০৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর জামিয়া আরাবিয়া দারুল উলুম নতুনবাগ মাদ্রাসায় দাওরায়ে হাদিসের ছাত্রদের পবিত্র বোখারি শরীফের ক্লাশ শেষে সংক্ষিপ্ত ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
আল্লামা নোমানী আরও বলেন, নবী করিম (সা.)-এর সুন্নতের যথাযথ অনুসরণ এবং নিয়তের পরিশুদ্ধি একজন মানুষকে দুনিয়া ও আখেরাতে সফলতার শিখরে পৌঁছে দেয়। হজরত সাহাবায়ে কেরাম নজিরবিহীন আত্মত্যাগ এবং রাসূলপ্রেমের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি লাভে ধন্য হয়েছেন। তাদের মাধ্যমে তাবেইন, তাবে-তাবেইন, আইম্মায়ে মুজতাহিদীন, মুহাদ্দিসীনদের অক্লান্ত মেহনতে ইলমে নববীর সুমহান ধারা বর্তমান সময় পর্যন্ত এসে পৌঁছেছে। ইসলামের এই অগ্রযাত্রায় অনেক প্রতিবন্ধকতা ও প্রতিকূলতা এসেছে। কিন্তু সেসব জয় করে এভাবেই ইসলাম আমাদের পর্যন্ত এসেছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত টিকে থাকবে- ইনশাআল্লাহ।
জামিয়া আরাবিয়ার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম মাওলানা গোলাম মহিউদ্দীন ইকরামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফি, মালিবাগ মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস জাফর আহমদ, নতুনবাগ মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস শেখ মুজিবুর রহমান, মাওলানা নাসির উদ্দীন, মুফতি কামরুল হাসান, মুফতি নুরুজ্জামান, মাওলানা হেদায়েতুল ইসলাম, মুফতি জাকির হোসাইন খান, মুফতি মাহবুব আলম, মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান, মুফতি রেজাউল করিমসহ প্রমুখ উলামায়ে কেরাম।
উল্লেখ্য, আল্লামা নোমানী ০৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সফরে আসেন। ওই দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইউনুছিয়ার শতবার্ষিকী সম্মেলনে যোগ দেন। পরের দিন গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা অবস্থান করছেন। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার তিনি বাংলাদশে ত্যাগ করবেন। সফরকালীন সময়ে তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন মাদ্রাসা পরিদর্শন ও বার্ষিক মাহফিলে অংশ নেবেন। মাওলানা নোমানীর বাংলাদেশ সফর ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে বলে অভিজ্ঞমহল মনে করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘন্টা, ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫