নামাজ এমন একটি ফরজ ইবাদত। জামাতে নামাজ আদায় দিনে পাঁচবার মুসলমানদের পরস্পরে একত্রিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়।
আমাদের সমাজের অনেক লোক আছেন, তারা গুরুত্ব দিয়ে নামাজ আদায় করেন ঠিকই, কিন্তু নামাজের কাতার সোজা হলো, না বাঁকা হলো সেদিকে লক্ষ্য করেন না। তারা মনে করেন, মসজিদে তো অনেক জায়গাই রয়েছে, তাই একটু ফাঁকা হয়ে দাঁড়ালে ক্ষতি কি? এমন মনোভাব ইসলামসম্মত নয়। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিসে এভাবে নামাজে দাঁড়ানোকে নিষেধ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হচ্ছে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কাতার সোজা কর, কাঁধের সঙ্গে কাঁধ বরাবর কর, ফাঁক বন্ধ কর, শয়তানের জন্য কোনো ফাঁক রাখবে না। যে ব্যক্তি কাতারের সংযোগ স্থাপন করে আল্লাহ তার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেন। আর যে কাতার ছিন্ন করে, আল্লাহ তার সঙ্গে সংযোগ ছিন্ন করেন। ’ -আবু দাউদ
আমাদের দেশে সাধারণ নিয়ম অনুসারে ইমাম সাহেব ইকামত হওয়ার পর বলেন, ‘কাতারের মাঝখানে ফাঁকা রাখবেন না, কাছাকাছি দাঁড়ান, কাতার সোজা করে দাঁড়ান। ’ তারপর আল্লাহু আকবর বলে নামাজ শুরু করে থাকেন। নামাজের জন্য ইমাম আমাদের অনুকরণীয়, ইমামের কথা অবশ্য পালনীয়। আমরা কি মানি? কাতারে সোজা হয়ে দাঁড়াই না। তাই আমাদের মধ্যে একতা নেই, সম্প্রীতি নেই, ভালোবাসা নেই।
নামাজের কাতার সোজা করা নামাজের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এই বিধানকে এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী নামাজের কাতারের মাঝে ফাঁকা থাকার কারণে মুসলমানদের মাঝে বিভেদ ও অনৈক্যের সৃষ্টি হয়। কাতারে ফাঁকা থাকলে সেখানে শয়তান অনুপ্রবেশ করে আমাদের নামাজ ও ঐক্যে ফাটল ধরায়। ফলে আমরা নামাজের প্রকৃত শিক্ষা ও সামাজিক উপকারিতা থেকে বঞ্চিত হই, যা মোটেও কাম্য নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘন্টা, ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫