সুস্থ ও স্বাভাবিক মুসলমানদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ইবাদত হলো দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা। নামাজের ক্ষেত্রে জামাতে নামাজ আদায়ের গুরুত্ব অনেক বেশি, এটা অনেক বড় সওয়াবের কাজও বটে।
জামাতে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে নামাজের শুরুতে অংশগ্রহণ করতে না পারলে, রুকু, সেজদা বা তাশাহহুদ (প্রথম/শেষ বৈঠক)-এ এসে হাজির হয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে দেখা যায় অনেক মুসল্লিকে। অথচ ছোট্ট কিছু নিয়ম জানলে বিব্রতকর এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচা খুব সহজ। আজকে আমরা জানব পরে এসে জামাতে অংশগ্রহণকারীর বিধান সম্পর্কে।
নামাজের শুরুতে ইমামের সঙ্গে ছিল না, এক বা একাধিক রাকাত আদায়ের পর এসে যে নামাজে শরীক হয় এমন মুসল্লিকে ‘মাসবুক’ বলে।
জামাত শুরু হয়ে ইমাম কেরাত পড়া শুরু করেছেন এ সময় জামাতে অংশ নিতে ইচ্ছুক আগত মুসল্লি নিয়ত করে ‘আল্লাহু আকবর’ বলে জামাতে শরিক হবেন। ফজর, মাগরিব ও এশার নামাজের ক্ষেত্রে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকবেন। জোহর ও আসরের নামাজের ক্ষেত্রে কেবল ‘সানা’ (সুবহানাকাল্লাহুম্মা...) পড়বেন এবং ইমামের অনুসরণ করবেন।
ইমাম রুকুতে থাকাকালীন আগত মুসল্লি সোজা দাঁড়িয়ে নিয়ত করে আল্লাহু আকবর বলে নামাজে অংশ নিবেন এবং আরেকটি তাকবির (আল্লাহু আকবর) বলে দ্রুত রুকুতে চলে যাবেন। তবে রুকুতে যেতে দেরি হলে অর্থাৎ রুকুতে যেতে যেতে ইমাম সাহেব দাঁড়িয়ে গেলে দেরিতে আসা মুসল্লি ইমামের সঙ্গে সিজদা করবেন ঠিক, তবে তাকে ওই রাকাতটি আবার আদায় করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ইমাম রুকু শেষ করে সিজদায় গেলে, পরে এসে কেউ কেউ একাকি রুকু আদায় করে ইমামের সঙ্গে সিজদায় সম্পৃক্ত হয়ে মনে করেন রাকাত পেয়ে গেছেন। পরে ওই রাকাত আদায় করেন না। এতে ওই ব্যক্তির নামাজ নষ্ট হয়ে যায়। কারণ ইমামের সঙ্গে রুকু না পেলে রাকাত পাওয়া হয় না।
ইমাম প্রথম বা শেষ রাকাতে থাকাকালীন এসে নামাজে অংশ নিলে, মুসল্লি সোজা দাঁড়ানো অবস্থায় ‘তাকবির’ বলে নামাজে সম্পৃক্ত হয়ে আরেক তাকবির বলে বৈঠকে যাবেন এবং তাশাহহুদ (আত্তাহিয়্যাতু...) পড়বেন। প্রথম বৈঠকের (৩-৪ রাকাতবিশিষ্ট নামাজে) ক্ষেত্রে দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম দাঁড়িয়ে গেলে মুসল্লি তাশাহহুদ শেষ করে দাঁড়াবেন। শেষ বৈঠকে ইমাম দু’দিকে সালাম ফেরানোর পর দেরির মুসল্লি দাঁড়াবেন এবং অসম্পূর্ণ নামাজ সম্পূর্ণ করবেন। ছুটে যাওয়া নামাজ এক বা দু’রাকাত হলে একাকি আদায়ের সময় দু’রাকাতেই কেরাত অর্থাৎ সূরা ফাতেহার সঙ্গে অন্য একটি সূরা পড়তে হবে। দু’রাকাতের অধিক রাকাতের ক্ষেত্রে কেবল সূরা ফাতিহা পড়তে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘন্টা, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫