অটিজম কোনো রোগ, বংশগত বা মানসিক সমস্যা নয়। অটিজমকে সাধারণভাবে শিশুর মনোবিকাশগত জটিলতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
অটিজমে আক্রান্তদেরকে অটিস্টিক বলা হয়। অটিষ্টিক শিশুদেরকে কেউ কেউ মানসিক প্রতিবন্ধী বলে থাকেন। অটিজমে আক্রান্ত কোনো কোনো শিশু কখনো কখনো বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে অত্যন্ত পারদর্শীতা প্রদর্শন করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিতে পারে।
অটিস্টিক শিশুরা অনেক জ্ঞানী হয়। তবে অন্য আর আট-দশটা শিশুর মতো তাদের জ্ঞান সব দিকে সমান থাকে না। এদের কারো থাকে গণিতের ওপর অসাধারন জ্ঞান, কারো বিজ্ঞান, কেউ বা অসাধারণ সব ছবি আঁকতে পারে। কারো আবার মুখস্ত করার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। আর এ জন্য অটিজমের ওপর গবেষকরা বলেন, কোনো অটিস্টিক শিশুকে ঠিক মতো পরিচর্চা করলে সে হয়ে উঠতে পারে একজন মহা বিজ্ঞানী। এবার বিশ্ববাসী এমনই একজন অটিস্টিক শিশুকে দেখল। যে দশ বছর বয়সে পবিত্র কোরআনে কারিম মুখস্থ করে অবাক করে দিয়েছে সবাইকে।
গোলা-বারুদের পোড়া গন্ধ আর অনিশ্চিতি ভবিষ্যত ফিলিস্তিনিদের নিত্যসঙ্গী। সেই ফিলিস্তিনের গাজার ১০ বছরের এক অটিস্ট বালক মাত্র এক বছরে পরিপূর্ণ কোরআন মুখস্থ (হেফজ) করতে সক্ষম হয়েছে।
তুরস্কের জনপ্রিয় পত্রিকা ‘ডেইলি সাবাহ’ (Daily Sabah) ওয়েব সাইটে এমনই একটি খবর দিয়েছে। খবরে প্রকাশ, গাজার অটিস্টিক স্কুলের শিক্ষা বিভাগের প্রধান নাদভাহ আবদুল আল জানিয়েছেন, ওই স্কুলের ১০ বছরের বালক খালেদ আবু মুসা পবিত্র কোরআনের আয়াত শ্রবণের মাধ্যমে পুরো কোরআন শরীফ মুখস্থ করতে সক্ষম হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, অটিস্টিক শিশু খালেদ মুসাকে তার শিক্ষকরা কোরআনে আয়াত কয়েকবার করে তেলাওয়াত করে শোনাত। এভাবে বারংবার তার উদ্দেশ্যে কৃত কোরআন তেলাওয়াত শোনে সে সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্থ করতে সক্ষম হয়েছে।
অটিস্ট খালেদ মুসা বর্তমানে লিখতে ও পড়তে পারে। অথচ অটিস্ট শিশুদের জন্য এ ধরনের কাজ একটু কষ্টসাধ্য ও দূরহ বিষয়।
নিয়মিত পড়ালেখা ছাড়াও খালেদ অন্য শিশুদের সাথে মিলেমিশে খেলাধুলাও করতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৫