ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

পবিত্র কোরআনের আলোকে জীবন

মুফতি এনায়েতুল্লাহ, বিভাগীয় সম্পাদক, ইসলাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৫
পবিত্র কোরআনের আলোকে জীবন

মহান স্রষ্টা আল্লাহপাক রাব্বুল আলামীন জিন ও মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। এ জন্য আল্লাহতায়ালা চিরন্তন জীবনব্যবস্থা হিসেবে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ করেছেন।

এর মাধ্যমে আমরা যেমন দুনিয়ার জীবন, পবিত্র-সুখ ও শান্তিময় জীবন করে গড়ে তুলতে পারি, তেমনি পরকালীন জীবনে নাজাত, মুক্তি ও আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং নৈকট্য লাভ করতে সমর্থ হই। অতএব আমাদের জীবনের সব কার্যকারণ কোরআনের নির্দেশিত পথে চলে সুন্দরতম আল্লাহর পবিত্র বান্দা হয়ে নিজেদের চিহ্নিত করতে পারি।

অতএব জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পবিত্র কোরআনের অনুসরণ এবং হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আদর্শ, সুন্নাত তরিকা যথাযথ আমল (বাস্তবায়ন) করতে পারি। মহানবী (সা.)-এর মহত্তম আদর্শ, শিক্ষা ছিল হুবহু কোরআন। হজরত আয়শা (রা.)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, বিশ্বনবী (সা.)-এর স্বভাব-চরিত্র কেমন ছিল? তিনি উত্তরে বললেন, আল কোরআনেরই হুবহু দৃষ্টান্ত।

যে মহৎ চরিত্র আমাদের জীবন করবে উন্নত। যে পবিত্র স্বভাব, সিরাত-সুরাত হবে আমাদের জন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, সেই চরিত্র বিকাশে আমাদের মধ্যে আজ অনুপস্থিত। তাই পবিত্র কোরআন মাজিদ ও হাদিসের আলোকে জীবন গঠনের জন্য মানবিক গুণাবলী অর্জন করা আমাদের একান্ত কর্তব্য। এ দুনিয়ার জীবনে সফলকাম সেই ব্যক্তি, যার মধ্যে দৃঢ় সংকল্পতা, উচ্চকাঙ্ক্ষা, ধৈর্য, সহনশীলতা, বীরত্ব, সাহস, ত্যাগের মহিমা, আত্মসংযম, ওয়াদা পালন, আনুগত্য, নিষ্ঠা, সৌজন্যবোধ, ভদ্রতা, সহানভূতি, সহমর্মিতা, প্রতিবেশীর প্রতি কর্তব্যবোধ, এতিম, মিসকিন, দুস্থ, বিপন্ন, ছিন্নমূল, গরিব-দুঃখী, অসহায় মানুষের প্রতি মমত্ববোধ ও মানবিক দায়িত্ব পালন ইত্যাদি, যা আখলাকে হামিদা অর্থা‍ৎ সুন্দরতম আদর্শ হিসেবে নিজেদের পরিচিত করতে পারি।

অতএব আসুন, পবিত্র কোরআন মানব জাতির চিরন্তন সংবিধান, হেদায়েত, নসিহত, রহমত, বরকত অশেষ নেয়ামত জীবন পথের পাথেয় হিসেবে কোরআনের নীতিমালা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলি। মনে রাখবেন, বিশ্বাসী মানুষের জন্য ইহকাল-পরকালের মুক্তির সনদ হলো পবিত্র কোরআন। কোরআন মজিদের শিক্ষা এবং হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শকে জীবনের সর্বক্ষেত্রে গ্রহণ করলেই আমাদের পার্থিব ও পারলৌকিক জীবন শান্তি ও কল্যাণকর হবে। কাজেই কোরআনের তেলাওয়াত, হেফজ করা, বোঝা, শিখা ও সেই মতো আমল (বাস্তবায়ন) করা এতে রয়েছে অশেষ সওয়াব, রহমত, বরকত, নেয়ামত ও নাজাত।

স্মরণ রাখতে হবে, কোরআনের ফজিলতের কথা লাখো লাখো পৃষ্ঠা লেখে শেষ করা যাবে না এবং এর তাত্পর্য, মাহাত্ম্য, মর্মার্থ, মোজেজা যে কি তা অগণিত। আমরা যেমন কোরআনে কারিমের শিক্ষা, আদর্শ, হুকুম, আহকাম জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত পালন করে আল্লাহর কবুলিয়াত, সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জন করতে পারি। তেমনি সন্তান-সন্তুতি, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীদের কোরআনে কারীমের হাফেজ হওয়ার উত্সাহিত করতে পারি, কোরআন শিখানোর ব্যবস্থা করতে পারি। এসব কাজে রয়েছে অনেক সওয়াব আর কল্যাণ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘন্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৫
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।