সদ্য সমাপ্ত হওয়া ব্রিটেনের ৫৬তম সাধারণ নির্বাচনে এবার রেকর্ড সংখ্যক মুসলিম প্রার্থী এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে ২৪ মুসলিম প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৩ জন বিজয়ী হন।
ইলেকশন শেষে এক জরিপে বলা হয়েছে, শুধু ১৩ প্রার্থী বিজয়ী নয়- এবারের নির্বাচনে মুসলিম ভোটাররা প্রায় ৩২টি আসনের ফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ‘হাউস অব কমন্সে’ (প্রতিনিধি সভা) ৬৫০টি আসন।
এবারের নির্বাচিত ১৩ জনের ৯ জনই নির্বাচিত হয়েছে বিরোধী দল লেবার পার্টি থেকে। আর সরকারী দল কনজারভেটিভ থেকে নির্বাচিত হয়েছে ৩ জন। বাকী অাসনটি স্কটিশ দল এসএসপি’র। গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং ফল ঘোষিত হয় শুক্রবার।
বিজয়ী মুসলিম প্রার্থীরা হলেন—
টিউলিপ সিদ্দিক (লেবার পার্টি), ডক্টর রুপা হক (লেবার), তাসনিমা আহমেদ শেখ (এসএসপি), নুশরাত ঘানি (কনজারভেটিভ), নাজ শাহ (লেবার), ইমরান হুসাইন (লেবার), রুশনারা আলী (লেবার), খালিদ মাহমুদ (লেবার), শাহবানা মাহমুদ (লেবার), ইয়াসমিন কুরাইশি (লেবার), সিদ্দিক খান (লেবার), রেহমান চিশতি (কনজারভেটিভ), সাজিদ জাভিদ (কনজারভেটিভ)।
এর মধ্যে সাজিদ জাভিদ ছিলেন সাবেক কোয়ালিশন সরকারের কালচার সেক্রেটারি। এবার নতুন কেবিনেটে তিনি পেয়েছেন বিসনেস সেক্রেটারির দায়িত্ব।
এ বিষয়ে মুসলিম নিউজ সম্পাদক আহমেদ জে ওয়ার্সি বলেন, এটা খুবই আনন্দের সংবাদ যে, এবার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মুসলিম প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। এরা সবাই ব্রিটিশ সংসদের নিম্নকক্ষ হাউজ অব লর্ডসের সদস্য। ব্রিটেনের জনসংখ্যার ৪.৮ শতাংশ মুসলমান হলেও হাউজ অব লর্ডসে মুসলিম প্রতিনিধির সংখ্যা মাত্র ২ শতাংশ। সে তুলনায় সংসদের উচ্চকক্ষ হাউজ অব কমন্সে মুসলমানদের প্রধিনিত্বি নেই। সেদিকে এখন দৃষ্টি দেয়া দরকার।
জনসংখ্যার দিক দিয়ে মুসলমানদের অবস্থান দ্বিতীয়। খ্রিস্টানদের পরই মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। ২০১০ সালে ব্রিটেনে গড়ে ৬৫ শতাংশ ভোট পড়লেও মুসলিমদের ভোট প্রদানের হার ছিল ৪৭ শতাংশ। এবার মুসলিমরা সে অবস্থান থেকে বেরিয়ে এসেছে। আগামী দিনে যদি সে ধারা অব্যাহত থাকে, তবে ব্রিটেনের ভোটের রাজনীতিতে প্রার্থীর জয়-পরাজয়ের ক্ষেত্রে মুসলিমরা বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠবে, তা নিশ্চিত করে বলা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘন্টা, মে ১৩, ২০১৫
এমএ