দুনিয়ায় মানুষ কমবেশি কোনো না কোনো বিপদ, মসিবত ও পেরেশানিতে পড়ে। এটা নতুন কিছু নয়।
দোয়া : হজরত সাদ ইবনে আবী ওয়াক্কাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুঃখ-কষ্টের সময় বলতেন, ‘লা- ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজজোয়ালিমিন। ’
অর্থ : একমাত্র তুমি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। নিশ্চয় আমি সীমা লঙ্ঘনকারী। -জামে তিরমিজি, হাদিস- ৩৫০০
উল্লেখিত দোয়াটি পবিত্র কোরআনে কারিমে উল্লেখিত একটি দোয়া। এই দোয়াটি আমাদের সমাজে ‘দোয়া ইউনুস’ নামে বেশি প্রসিদ্ধ ও বহুল পঠিত। বিজ্ঞ আলেমরা বলে থাকেন, এই দোয়া যে যত বেশি পড়বে আল্লাহতায়ালা তাকে বিভিন্ন বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করবেন, কেউ বিপদে পতিত থাকলে আল্লাহতায়ালা তাকে বিপদ থেকে সহজ করে দেবেন। এই দোয়াটি হজরত ইউনুস (আ.) ও হজরত আইয়ুব (আ.)সহ প্রত্যেক নবী-রাসূলরা বেশি বেশি পাঠ করেছেন।
এই দোয়া ছাড়াও আরও বেশ কিছু দোয়া রয়েছে, যেগুলোর পাঠে মানুষ অনেক ফজিলতের অধিকারী হয়, সৌভাগ্যের অধিকারী হয়।
দোয়া : তেমনি আরেকটি দোয়া হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে, হজরত আসমা বিনতে ওমাইর (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেন, আমি কি তোমাকে এমন কিছু শিখিয়ে দিবো না- যা তুমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশানির মধ্যে পড়বে। আর তা হচ্ছে—
‘আল্লাহু আল্লাহ- রাব্বী লা উশরিকু বিহি শাইয়া। ’
অর্থ : আল্লাহই আল্লাহ আমার প্রতিপালক। আমি তার সঙ্গে কোনো কিছু শরিক করি না। -সুনানে আবু দাউদ, হাদিস- ১৫২৫
দোয়া : আরেক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আল্লাহুম্মা লা সাহলা- ইল্লা মা জায়া সাহলান; ওয়া আনতা তাজআলুল হুযনা- সাহলান ইযা শিইতা। ’
অর্থ : ইয়া আল্লাহ! কোনো বিষয় সহজ নয়। হ্যাঁ, যাকে তুমি সহজ করে দাও। যখন তুমি চাও তখন তুমি মুশকিলকে সহজ করে দাও। -সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস- ৯৭৪
যদি আমরা এ জাতীয় ছোট ছোট দোয়া বেশি বেশি পাঠ করি এবং নিজেদের অভ্যাসে পরিণত করি তাহলে আশা করা যায় মহান আল্লাহতায়ালা আমাদের সব ধরনের বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘন্টা, মে ২১, ২০১৫
এমএ/