পবিত্র মক্কা শরিফের হজের আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয় যেসব জায়গায় সে জায়গার সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন কাজ খুব দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এর ফলে আশা করা হচ্ছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে হজের মৌসুমে একসঙ্গে প্রায় ৫০ লাখ হজযাত্রী পবিত্র হজ পালন করতে পারবেন।
সম্প্রতি সৌদি হজমন্ত্রী বন্দর হাজ্জার গণমাধ্যমে সঙ্গে আলাপ কালে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মদিনায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, তার মন্ত্রণালয় আগামী রমজান মাসে রেকর্ডসংখ্যক ওমরা পালনকারীদের স্বাগত জানানোর সব ধরনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৮ জুন থেকে পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে ওমরা পালনকারীদের আগমন শুরু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আলাপ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বন্দর বলেন, আগামী বছরগুলোতে বিপুলসংখ্যায় হজ্জযাত্রী বৃদ্ধির বিষয়টি আমাদের বিবেচনায় রয়েছে। মন্ত্রী আল্লাহ ঘরের মেহমানদের যথাসম্ভব উন্নত সেবা প্রদানের জন্য সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
সৌদির হজমন্ত্রী বলেন, জেদ্দায় নবনির্মিত বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং মদিনার প্রিন্স মোহাম্মাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হজ ও ওমরার যাত্রীদের সেবা উন্নয়নে সহায়ক হবে। এছাড়া পবিত্র মক্কার মসজিদুল হারাম এবং মদিনায় মসজিদে নববীর সম্প্রসারণ থেকে শুরু করে হজের সময় সংশ্লিষ্ট এলাকা ও স্থানসমূহের নানাবিধ উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও সংস্কার ওমরা ও হজ পালনকারীদের স্বাচ্ছন্দ্য ইবাদত পালনে সহায়ক হবে।
এদিকে মন্ত্রীর সঙ্গে আলাপকালে মদিনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আল-খাতরাবী বলেন, হজ ও ওমরার খাত সৌদি আরবের জিডিপি অনেক বাড়িয়ে দেবে এবং বৈচিত্র্য আনয়নের পদক্ষেপে সহায়তা করবে। তিনি এ খাতকে রাজস্ব অর্জন ও কর্মসংস্থানকারী খাত হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এটি শুধু আমাদের দেশ নয়, বরং আমাদের এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে বড় ধরনের অবদান রাখছে। তিনি আরো বলেন, এ খাত অঞ্চলের রাজস্বে বৈচিত্র্য আনবে এবং এ খাতে বিনিয়োগের ফলে দেশটির তেলনির্ভরতা অনেকাংশে হ্রাস পাবে।
সৌদি সরকারের তথ্য অনুযায়ী গহ হজ মৌসুমে ২৫ লক্ষাধিক মুসলমান হজব্রত পালন করছেন। এর মধ্যে ১৮ লাখ হাজী বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন এবং ৭ থেকে ৮ লাখ অভ্যন্তরীণ হাজী।
অবশ্য বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা হাজীর নির্ধারিত সংখ্যা হ্রাস করেছে খোদ সৌদি সরকার। এর অন্যতম কারণ হলো- পবিত্র মক্কা নগরের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ। আশা করা হচ্ছে নির্মাণ কাজ খুব দ্রুত শেষ হবে। এই নির্মাণ কাজ শেষ হলেই এর সুবিধা পাবে হজ যাত্রীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘন্টা, মে ২৬, ২০১৫
এমএ/