স্পেনে সম্প্রতি প্রকাশিত মুসলিম বিষয়ক এক তদন্ত অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী দেখা গেছে, গত এক বছরে সেদেশের মুসলমানের সংখ্যা ৭.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে সাড়ে ১৮ লাখে দাঁড়িয়েছে। খবর অন ইসলামডটকমের।
খবরে বলা হয়, স্পেনের মুসলিম বিষয়ক তদন্ত অধিদপ্তর এক প্রতিবেদন উপস্থাপনের মাধ্যমে ঘোষণা দিয়েছে যে, স্পেনের অধিকাংশ মুসলমান কাতালোনিয়া, আন্দালুসিয়া, মাদ্রিদ, ভ্যালেন্সিয়া, মুর্সিয়া, সিবতা এবং মেলিলা অঞ্চলে বসবাস করছে।
স্পেনের বিচার মন্ত্রণালয়, নাম নিবন্ধন অফিস এবং স্পেনের মুসলিম ইউনিয়ন জানিয়েছে, বিগত চার বছর যাবত বিভিন্ন আরবি দেশ তথা মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, মৌরিতানিয়া, লিবিয়াসহ আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে অনেক মুসলমান স্পেনে স্থানান্তরিত হয়েছেন।
স্পেনের বিচার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ইসলামি ও ধর্মীয় বিভাগের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্পেনে ২০১৪ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত মুসলমানদের নিয়ন্ত্রিত ৪২টি কেন্দ্র সক্রিয়ভাবে নিজেদের কর্ম পরিকল্পনা সফলভাবে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
এদিকে স্পেনে ইউরোপের বৃহত্তম মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কাতারের বর্তমান আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানি গত বছর স্পেনে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম একটি মসজিদ তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বার্সেলোনায় সৌধতুল্য একটি বুলরিংকে মসজিদে রূপান্তর করার প্রস্তাব দেন। বুলরিং বলা হয় সেই স্থানকে যেখানে ষাঁড়ের লড়াইয়ের আয়োজন করা হয়।
মসজিদটি নির্মাণে তিনি পাঁচ বছরে প্রায় ৩০০ কোটি ডলার ব্যয় করবেন। ৪০ হাজার মুসল্লির ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন মসজিদটি হবে ইউরোপের সবচেয়ে বড় মসজিদ।
পরিকল্পিত মসজিদটি হবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম। এটাতে থাকবে ৩০০ মিনার, একটি মিলনায়তন, ৩০০ আসন বিশিষ্ট কোরআন অধ্যয়ন কেন্দ্র এবং ইসলামি শিল্প ও ইতিহাস সমৃদ্ধ একটি জাদুঘর।
বুলরিংটি ১৯১৪ সালে উদ্বোধন করা হয় এবং ষাঁড়ের লড়াই ও কনসার্টের ভেন্যু হিসেবে খ্যাতি লাভ করে। মালিক পক্ষ বালানা গ্রুপ এখনো জায়গাটির বিক্রি নিশ্চিত করেনি। তবে স্পেনের একটি দৈনিক পত্রিকা জানিয়েছে যে, সৌধটির বর্তমান মালিকপক্ষ জায়গাটি বিক্রি করতে সম্মত হয়েছেন। এর পরবর্তী ধাপের কাজ হচ্ছে সিটি কাউন্সিলের সম্মতি নিশ্চিত করা।
বার্সেলোনাই ইউরোপের একমাত্র বড় শহর যেখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলিম থাকা সত্ত্বেও কোনো মসজিদ নেই। বার্সেলোনাতে সম্প্রতি কয়েকটি মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত একটা মসজিদও নির্মাণ করা যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘন্টা, মে ৩০, ২০১৫
এমএ