আজ শাবান মাসের ১৩ তারিখ। আগামীকাল অর্ধ শাবানের (শাবানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে) রাত মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে শবেবরাত নামে বিশেষভাবে পরিচিত।
শাবানের এক তারিখ থেকে সাতাশ তারিখ পর্যন্ত রোজা রাখার বিশেষ ফজিলতের কথা হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে। এ ছাড়া আইয়ামে বিজ তথা প্রতি মাসের তেরো, চৌদ্দ ও পনেরো তারিখে রোজা রাখার ব্যাপারে হাদিস শরিফে উৎসাহিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দূর্বল সনদে বর্ণিত এক হাদিসে বিশেষভাবে পনেরো তারিখের রোজা রাখার নির্দেশনাও পাওয়া যায়।
হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, পনেরো শাবানের রাত (চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত) যখন আসে তখন তোমরা তা ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও এবং পরদিন রোজা রাখ। -ইবনে মাজা, হাদিস- ১৩৮৪
যেহেতু বিভিন্ন সহিহ হাদিসে শাবান মাসের রোজার সাধারণ ফজিলত এবং আইয়ামে বিজের রোজার ফজিলত উল্লেখিত হয়েছে- পাশাপাশি দূর্বল সনদে উপরোক্ত হাদিসটিও বিদ্যমান রয়েছে; তাই কেউ যদি এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে পনেরো শাবানের রোজা রাখেন- তাহলে তিনি সওয়াব পাবেন- ইনশাআল্লাহ।
হাদিসে আছে, এ রাতে সূর্য অস্ত যাওয়ার পরই আল্লাহতায়ালা প্রথম আসমানে অবতরণ করেন। মাগরিব থেকে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন রহমত নিয়ে বান্দাদের রহমত দান করার জন্য প্রথম আসমানে আসেন এবং প্রচুরসংখ্যক মানুষের গোনাহকে ক্ষমা করেন। হাদিসের ভাষ্যমতে এটা স্পষ্ট যে, এই রাত হচ্ছে আল্লাহর কাছে পাওয়ার রাত, চাওয়ার রাত। এই রাত হচ্ছে আল্লাহর দরবারে কাঁদার রাত। এ রাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন গোনাহ মাফ করার জন্য প্রস্তুত থাকেন।
তাই যত বেশি সম্ভব ইবাদত-বন্দেগি বেশি বেশি করা। আলেমরা বলেন, শবেবরাতের মূল কাজই হলো- দিনে রোজা রাতে তাহাজ্জুদ।
যারা অসুস্থ কিংবা দুর্বল, পুরো রাত ইবাদত করার শক্তি রাখেন না, তারা শবেবরাতে তাড়াতাড়ি শুয়ে ভোররাতে উঠে যাবেন। যাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা যায়। কারণ তাহাজ্জুদের সময় দোয়া কবুলের উপযুক্ত সময়।
সেহরি খেয়ে ফজরের নামাজ মসজিদে এসে জামাতে আদায় করার চেষ্টা করতে হবে, কারণ হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি এশার নামাজ এবং ফজরের নামাজ মসজিদে এসে জামাতের সঙ্গে আদায় করবে, আল্লাহতায়ালা পুরো রাত ইবাদত করার সওয়াব তাকে দান করবেন। কাজেই এশা এবং ফজরের নামাজকে প্রথম তাকবিরের সঙ্গে আদায় করার চেষ্টা করতে হবে।
আজ ঢাকায় সেহরির শেষ সময় রাত ৩টা ৪২ মিনিটে। ফজরের ওয়াক্ত শুরু হবে রাত ৩টা ৪৭ মিনিটে। আগামীকাল সূর্যোদয় ৫টা ১০ মিনিটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘন্টা, জুন ০১, ২০১৫
এমএ/