বরিশাল জেলার গৌরনদী থানা সদর থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার উত্তরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পশ্চিম পার্শ্বে বড় কসবা নামক গ্রামের মনোরম পরিবেশে প্রাচীনকালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ঐতিহ্যবাহী ‘আল্লাহর মসজিদ। ’
যদিও মসজিদটির প্রয়োজনীয় সংস্কার দরকার।
‘আল্লাহর মসজিদ’ নামে নির্মিত এই ঐতিহ্যবাহী মসজিদটির নির্মাণ ইতিহাস সম্পর্কে যা জানা যায় তা হলো, অতি প্রাচীন এই বড় কসবা গ্রামটির ওই এলাকাটি এক সময় গভীর জঙ্গলে পূর্ণ ছিল। সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে এই জঙ্গল আবাদ করার জন্য এক দল লোক নিয়ে সম্রাট জঙ্গল কেটে পরিস্কার করার সময় নয়টি গম্বুজ, পাচঁটি দরজা ও বহু মূল্যবান শ্বেত পাথরের এ মসজিদটির সন্ধান পান। গভীর জঙ্গল কেটে মসজিদ দেখতে পেয়ে এর কোনো প্রতিষ্ঠাতা বা নির্মাণকারীর সন্ধান না পেয়ে তখন ওই এলাকার মুসলমানরা এর নাম রাখেন- ‘আল্লাহর মসজিদ। ’
এই মসজিদকে ঘিরে ওই এলাকার আদিবাসীসহ ঐতিহাসিকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, অলৌকিক এক ঘটনার কথা।
আজ থেকে প্রায় দেড়শ’ বছর পূর্বে এক অন্ধকার রাতে মসজিদটি পূর্ব পাশের দীঘি থেকে অলৌকিক ভাবে ঐশ্বরিক মনি-মুক্তা ও শ্বেত পাথরের আটটি খাম্বা ওঠে। তার মধ্যে চারটি ওই মসজিদের মধ্যে অবস্থান নেয়। যা মসজিদের গম্বুজের সঙ্গে মিশে যায়। অন্য চারটি খাম্বা ওই বিশাল দীঘি থেকে উঠতে থাকা অবস্থায় সুবহে সাদেকের সময়ে ওই এলাকায় এক নববধূ গোসল করতে দীঘির পাড়ে গিয়ে ঐশ্বরিক ওই চারটি খাম্বার ওপর উঠলে খাম্বা চারটি দীঘির পানির নিচে চলে যায়। সেই থেকে মসজিদের মধ্যে থাকা খাম্বা চারটি থেকে আজ পর্যন্ত আল্লাহর কুদরতি তেল জাতীয় পদার্থ বের হচ্ছে। ওই তেলকে ওই এলাকার মানুষ রহমতের তেল বলে মনে করে। ওই তেল জাতীয় পদার্থ ব্যবহার করে অনেক অনেক কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছে বলে এলাকায় জনশ্রুতিও আছে। ফলে প্রতিদিন জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রচুর লোক ওই তেল সংগ্রহের জন্য এখানে উপস্থিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৫
এমএ/