পবিত্র রমজানের শুরুতেই মক্কা নগরীতে কাবা শরিফে নেমেছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানের ঢল। সউদি আরবের হিসাবে এ সংখ্যা এবার ২ কোটি ৫০ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
সউদি গেজেটের অনলাইনে বলা হয়, জনপরিবহন এ মাসে ৫০ লাখ ট্রিপ দেবে বলে ধারণা করছে পরিবহন খাতের কর্মকর্তারা। এদিকে প্রিন্স খালেদ পরিবহন কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তারা পরিবহন সেবা অব্যাহত রাখেন। এতে ওমরাকারী বা সাধারণ পর্যটক যারা যাবেন সেখানে তাদের চলাচল সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় হবে। প্রিন্স খালেদ কেন্দ্রীয় হজ কমিটিরও চেয়ারম্যান।
তিনি সরকারের সব বিভাগ ও বেসরকারি খাততে ধর্মপ্রাণ মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য যেসব বিভাগ আছে সেসব সেক্টরকেও তিনি দায়িত্ব পালন করতে আহ্বান জানিয়েছেন। কর্তৃপক্ষের তরফে আরও বলা হয়েছে, মোট ১৬০০ বাস ওমরাকারী ও সাধারণ মুসল্লিদের বিভিন্ন কার পার্কিং থেকে গ্রান্ড মসজিদে নিয়ে আসবে। আবার তাদের দিয়ে আসবে স্ব স্ব স্থানে। উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রবিষয়কমন্ত্রী যুবরাজ মুহাম্মদ বিন নাইফ গত সপ্তাহে সিভিল ডিফেন্স বিষয়ক একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন। এতে পবিত্র রমজানে মক্কা ও মদিনায় জরুরি পদক্ষেপ নির্ধারণ করা হয়েছে। তিন দফার ওই পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, ওমরা করতে যাওয়া মুসলমান ও পর্যটকরা যেন নিরাপদে থাকতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে।
রমজান উপলক্ষ্যে অাগত মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে মক্কায় গ্রান্ড মসজিদে দু’টি ও মক্কার আশপাশে ৩৬টি স্থায়ী স্বাস্থ্য কেন্দ্র চালু থাকবে। এর মধ্যে ১৬টি সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা চালু থাকবে। জেদ্দায় অবস্থিত কিং আবদুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট দিয়ে ২০ হাজারের বেশি ফ্লাইটে ৭০ লাখের বেশি মানুষ যাবেন ওমরা করতে এমনটাই প্রত্যাশা সউদি আরবের। এ বিমানবন্দরে রয়েছে আগমন ও নির্গমনের জন্য ১৪টি লাউঞ্জ। এ টার্মিনালে একই সময়ে ধারণক্ষমতা ৬০ হাজার। গত মাসে এটি খুলে দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘন্টা, জুন ২২, ২০১৫
এমএ/