ঢাকা: এবারের (হিজরি ১৪৩৬ সন) জনপ্রতি ফিতরা সর্বনিম্ন ৬০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১৬৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। স্থানীয় পণ্য- আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যবের বর্তমান বাজার মূল্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দোতলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন সভাকক্ষে ‘সাদকাতুল ফিতর’ নির্ধারণের জন্য অনুষ্ঠিত জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ ফিতরা নির্ধারিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দ্বীনি দাওয়া বিভাগের পরিচালক এ এম এম সিরাজুল ইসলাম। সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইমাম সমিতির যুগ্ম মহাসচিব মুফতি শাইখ ওসমান, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মিজানুর রহমান, পেশ ইমাম মহিবুল্লাহ আল বাকী, ঢাকা অালিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মারুফ প্রমুখ।
সভায় আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, ইসলামী শরীয়াহ মতে আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যব ইত্যাদি পণ্যগুলোর যে কোনো একটির মাধ্যমে ফিতরা প্রদান করা যায়। আটার মাধ্যমে ফিতরা আদায় করলে জনপ্রতি এক কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্যে ৬০ টাকা আদায় করতে হবে। খেজুরের মাধ্যমে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্যে ১৬৫০ টাকা, কিসমিসের মাধ্যমে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্যে ১২০০ টাকা, পনির দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্যে ১৬০০ টাকা এবং যব দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২০০ টাকা আদায় করতে হবে।
মুসলমানরা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী সাদকাতুল ফিতরা আদায় করবেন। ঈদুল ফিতরের নামাজের অব্যবহিত আগে প্রতিটি মুসলমানের জন্য ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩১ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৫
এফবি/আরআই