পবিত্র হজ পালনের জন্য যখন আরাফার ময়দানে লাখো হাজি উপস্থিত, তখন রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় উদ্বোধন করা হচ্ছে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় মসজিদ। আর মসজিদটি উদ্বোধন করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বিষয়টি অবাক করার মতো। কারণ এই মস্কোতে কি-না এক সময় নিষিদ্ধ ছিল ধর্ম-কর্ম! সেই মস্কোর মসজিদ উদ্বোধন করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট স্বয়ং। রুশ মুসলমানদের জন্য দিনটি খুবই আনন্দের। নতুন মসজিদের উদ্বোধন রাশিয়ার মুসলমানদের সুন্দর ভবিষ্যতের ইঙ্গিতবহ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও থাকবেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোগান, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, কাজাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নুর সুলতান নাজারবয়েভ, রাশিয়ায় নিযুক্ত বিভিন্ন মুসলিম দেশের রাষ্ট্রদূত, বিশ্বের খ্যাতিমান ইসলামি স্কলার ও রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা।
রাশিয়া মুসলমানদের সঙ্গে মসজিদটি উদ্বোধনকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সেপ্টেম্বরের ২৩ তারিখটিকেই নির্ধারণ করা হয়েছে। উদ্বোধনের পরদিনই এ মসজিদের অনুষ্ঠিত হবে রাশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদুল আজহার জামাত।
মস্কোর এই কেন্দ্রীয় মসজিদটিতে একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারবেন ১০ হাজার মুসল্লি। মসজিদটি মস্কোর ক্যাথেড্রল মস্ক ও জুমা মসজিদ নামেও পরিচিত। চার বছর আগে এটি ভেঙে ১০ হাজার নামাজির স্থান সংকুলানের উপযোগী করে, নতুন করে নির্মাণ করা হয়। এটি আগের চেয়ে ২০ গুণ বড় করে নির্মাণ করা হয়েছে। এর বর্তমান আয়তন ১৯ হাজার বর্গমিটার।
তুরস্কের ধর্মবিষয়ক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান টার্কিশ ডেয়ানেট মসজিদটির অভ্যন্তরীণ ডিজাইনের ক্ষেত্রে সহায়তা দিয়েছে।
মস্কোতে মসজিদ রয়েছে মাত্র ৬টি। মুসলমানরা আরও নতুন মসজিদ নির্মাণের চেষ্টা করছেন।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাশিয়ায় প্রায় ১৩ মিলিয়ন মুসলিম অধিবাসী রয়েছে। এর মধ্যে ১.৫ মিলিয়ন মুসলমান মস্কোয় বসবাস করে। তবে বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাশিয়ায় প্রায় ২০ মিলিয়ন মুসলিম অধিবাসী রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৫
এমএ/