সারা বিশ্বে মুসলমানদের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হালাল অর্থনীতির পরিধিও বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন। ফলে আরও বেশি পরিমাণ পণ্য ইসলামি শরিয়া আইন মেনে তৈরি হচ্ছে।
আমেরিকার ইসলামিক খাদ্য ও পুষ্টি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ চৌধুরি বলেন, ‘হালাল পণ্যের পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে কারণ প্রত্যেক বছর আমাদের জনসংখ্যা ২.৫% থেকে ৩% বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইসলাম সবচেয়ে দ্রুত বর্ধিষ্ণু ধর্ম। ’
তিনি বলেন, যেসব পণ্য শরিয়তসম্মত উপায়ে তৈরি হচ্ছে সেগুলোকে হালাল পণ্যের সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে, ফলে হালাল অর্থনীতির পরিধি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সম্প্রতি দুবাইয়ে ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘হালাল অর্থনীতি ২০% বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ অনিশ্চিত অর্থনীতি থেকে নিশ্চিত হালাল অর্থনীতিতে রূপান্তর। ’
মোহাম্মদ চৌধুরি বলেন, মুসলিম ক্রেতাদের জন্য সারা বিশ্বেই ব্যবসায়, হোটেল ও রেস্টুরেন্টে হালাল পণ্যের চাহিদা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ‘হালাল একটি জীবনব্যবস্থা। জাপান-কোরিয়ার মতো দেশ আরও বেশি পরিমাণে মুসলিম বিশ্বের পর্যটক আকৃষ্ট করার জন্য তাদের হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোকে হালাল বান্ধবে রূপান্তর করছে। ’
বিশ্বে মোট মুসলিম জনসংখ্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হালাল একটি বৈশ্বিক স্বত্বা। আমরা ১৮০ কোটি ভোক্তাকে নিয়ে কাজ করছি। ’
এমিরেটস অথরিটি ফর স্টান্ডার্ড অ্যান্ড মেট্রোলজির প্রধান আবদুল্লাহ আল মুয়াইনি বলেন, হালাল পণ্যের মূল ভোক্তা মুসলিম জনসংখ্যা এবং তা ২০৩০ সালের মধ্যেই ২২০ কোটিতে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ওআইসি বৈশ্বিক হালাল খাতের মূল্য প্রায় ২.৩ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে। আশা করা হচ্ছে বৈশ্বিক অর্থনীতির অন্যতম একটি টেকসই খাত হবে হালাল খাত। ’
উল্লেখ্য যে, মুসলিমদের জীবনে হালালের গুরুত্ব ব্যাপক। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা পবিত্র কোরআনে কারিম ও হাদিস শরিফে উল্লেখ রয়েছে। ইসলাম ধর্মের বিশ্বাস হলো, কেউ যদি হারাম খায়, হারাম রিজিক দ্বারা তৈরি দেহ নিয়ে ইবাদত-বন্দেগি করে, তাহলে তার কোনো ইবাদত কবুল করা হবে না। আর হারামের ওপর তার মৃত্যু হলে সে হবে নির্ঘাত জাহান্নামি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৫
এমএ