ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব

জায়নামাজ-কম্বলের দোকানে মুসল্লিদের ভিড়

রাজীব সরকার, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৬
জায়নামাজ-কম্বলের দোকানে মুসল্লিদের ভিড় ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

টঙ্গীর তুরাগ তীর থেকে: টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের আশপাশের এলাকায় বসা হাদিসের বই, জায়নামাজ, টুপি ও কম্বলের দোকানগুলোতে মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় লেগেছে।

শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব উপলক্ষে ময়দানের আশপাশের বিভিন্ন জায়গা এসব পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা।



দিনের শুরু থেকে রাত অবধি অস্থায়ী এসব দোকানে লেগে থাকছে ভিড়। বিকিকিনিও চলছে বেশ। ইজতেমায় আসা মুসল্লিরা এসব দোকান থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন তাদের পছন্দের জিনিসটি।

কয়েকদিনের জন্য গড়ে ওঠা এসব দোকানে বেচাবিক্রি অনেকটা ভাল বলেই জানালেন দোকান মালিকরা। তারা জানান, ভিড় থাকলেও ভিড় ঠেলেই মুসল্লিরা হাদিস ও ইসলামী বই, তসবী, জায়নামাজ, টুপি, ব্যাগ, বৃদ্ধদের চলার লাঠি, কম্বল, শীতবস্ত্র, পাঞ্জাবি, বোরকাসহ প্রয়োজনীয় জিনিস কিনছেন। দাম হাতের নাগালে থাকায় বিক্রি বাড়ছে। এভাবে আখেরি মোনাজাতের দিন রোববার (১৭ জানুয়ারি) পর্যন্ত চলবে এ বেচাকেনার ধুম।

ময়দানের আশপাশে ঘুরে কম্বলের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেল। শীত বেশি থাকায় কম্বল বিক্রি হচ্ছে বেশি। মুসল্লিরা ছাড়াও এখানে কম্বল কিনতে আসছেন অনেকেই।

কম্বলের দোকানগুলোতে ঢুঁ মেরে জানা গেল, এখানে ৮০০ টাকা থেকে শুরু করে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে কম্বল। তবে ২ হাজার টাকা দামের কম্বল বেশি বিক্রি হচ্ছে।

ইজতেমার অস্থায়ী দোকানি মো. রহমত আলী বাংলানিউজকে জানান, এ বছর বিক্রি ভালো হচ্ছে। গত বছর যে জায়নামাজ ৪০০ টাকা বিক্রি করেছেন, এ বছর বিক্রি করছেন ৩০০ টাকায়। তবে লাভ কম করেও বিক্রি বেশি হওয়ায় খুশি তিনি।

তিনি জানান, তার দোকানে ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ১২০০ টাকার জায়নামাজ আছে। তবে বেশি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকার জায়নামাজ।

হাদিসের বইয়ের দোকানি মো. খায়রু ইসলাম জানান, ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীদের অনেকেই হাদিসের বই ও বয়ান বই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এ বছর ‘হৃদয় কাঁপানো মাস্তুরাতের বয়ান’ বইটি বিক্রি হচ্ছে বেশি।

টুপি বিক্রেতা আবদুল জলিল জানান, নামাজ পড়তে টুপি লাগে। লাখ লাখ মুসল্লি এখানে এসেছেন। তাই টুপিও বিক্রি হচ্ছে দেদারসে। তবে ১০ টাকা দামের টুপি বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান।

বাংলাদেশ সময় : ২০১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৬
আরএস/এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।