সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস আল খাইমাহর ইজনের অধিবাসী ৮২ বছরের এক বৃদ্ধা পবিত্র কোরআনে কারিম মুখস্থ করা শুরু করেছেন। ‘শেইখা জায়ন সাইয়্যিদ আস সুরিদি’ নামের ওই বৃদ্ধা নারী ইতোমধ্যে ১০ পারা কোরআন মুখস্থ করতে সক্ষম হয়েছেন।
নিরক্ষর হওয়া সত্ত্বেও দৃঢ় ইচ্ছা ও মনোবলের কারণে তিনি পবিত্র কোরআন মুখস্থ করতে সক্ষম হয়েছেন। উম্মে মুহাম্মদ নামে বেশি পরিচিত এই নারী পাঁচ সন্তানের জননী।
পবিত্র কোরআনে কারিম মুখস্থ করার বিষয়ে তিনি ডিজিটাল ফন্ট কোরআনের (বিশেষ ধরণের স্পিকার বিশিষ্ট কলম এবং এই কলম দ্বারা নির্ধারিত কোরআনের যে স্থানে স্পর্শ করা হবে, ঠিক সেখানেই তেলাওয়াত করবে) সাহায্য নিয়েছেন। আর এর মাধ্যমেই তিনি সহজে কোরআন মুখস্থ করতে সক্ষম হয়েছেন।
উম্মে মুহাম্মদ তার প্রয়াস প্রসঙ্গে বলেছেন, এটা সত্য যে- আমি লেখাপড়া জানি না। কিন্তু কোনো কিছুর ব্যবহার একবার আমাকে দেখিয়ে দিলে সেটা আর ভুলি না। আর এ কারণেই আমি ডিজিটাল ফন্ট কোরআনের মাধ্যমে আমি সহজে ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোরআন হেফজ করতে সক্ষম হয়েছি। কারণ, এই কলম কোরআনের যে স্থানেই স্পর্শ করা হোক না কেন, সেখানেই তেলাওয়াত করবে এবং নিজের ইচ্ছা মতো তেলাওয়াত পুনরাবৃত্তি করা যায়। এভাবেই আমি শুনে শুনে কোরআন মুখস্থ করছি। কিন্তু আমার আফসোস হলো, আমি দেখে কোনো কোরআনই তেলাওয়াত করতে পারি না। এটাও আমার শেখার ইচ্ছা রয়েছে।
সাইয়্যিদ আল সুরিদি একজন কর্মশীল নারী। তিনি গৃহপালিত পশু দেখাশোনা করেন এবং ভেষজ ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে তার বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। তার স্বামী ইন্তেকাল করেছেন দশ বছর আগে।
পবিত্র কোরআনের বাকী অংশপুকু মুখস্থ করার জন্য উম্মে মুহাম্মদ ইজনের একটি বয়স্ক কোরআন শিক্ষা কেন্দ্রে ভর্তি হয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছেন আরব-আমিরাতে অনুষ্ঠিতব্য বয়স্ক নারীদের গ্রুপভিত্তিক কোরআন হেফজ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৬
এমএ/