দ্য মুসলিম কাউন্সিল কর্তৃক প্রকাশিত এক জরিপে দাবী করা হয়েছে, ব্রিটেনে প্রথমবারের মতো মুসলিম জনসংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনের কোনো কোনো অংশে বসবাসকারী প্রায় অর্ধেকই হচ্ছে মুসলমান।
বিভিন্ন জরিপের ভিত্তিতে প্রকাশিত ওই পরিসংখ্যানে বলা হয়, ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের মুসলমানদের অর্ধেক অন্য কোনো দেশে জন্মগ্রহণ করেছেন। মুসলিমদের এককভাবে বড় অংশটির অনুর্ধ্ব ১০ বয়সী। এতে বোঝা যায়, তাদের সংখ্যা বাড়ছে।
ব্রিটেনে ৩০ লাখ মুসলমান থাকার অর্থ হলো, দেশটির নাগরিকদের প্রতি ২০ জনে একজন করে মুসলমান।
সদ্য প্রকাশিত ওই জরিপের ভিত্তিতে ব্রিটেনকে এখন ইউরোপের তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম অধিবাসীদের দেশ বলা যাবে। ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আগত মুসলমানদের জন্য বৃটেনের মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে।
ব্রিটেনের বিভিন্ন শহরে এখন ভোটের জন্য মুসলমানদের কদর বাড়ছে। মুসলমানরাও বিভিন্ন নির্বাচনে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পেরে আশান্বিত।
ব্রিটেনে আছে শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যবস্থাও। ইসলামিক ব্যাংক অব ব্রিটেন হলো, ব্রিটেনের একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক। যেটা ব্রিটিশ মুসলমানদের শরিয়াভিত্তিক অর্থনৈতিক সেবা সহায়তা প্রদান করার লক্ষে ২০০৪ সালের প্রতিষ্ঠিত হয়।
বর্তমানে লন্ডন, বার্মিংহাম, ম্যানচেস্টার এবং লেইসেস্টারে ব্যাংকটির একাধিক শাখা এবং ডিউসবারি, লিউটন ও টুথিংয়ে এর একাধিক এজেন্সি রয়েছে। এটিই প্রথম ব্রিটিশ ব্যাংক- যা পূর্ণাঙ্গভাবে ইসলামি মুলনীতি অনুসারে পরিচালনার দাবি করে। ওই ব্যাংকে মুসলিম এবং অমুসলিম সবাই সেবা নিতে পারেন।
তবে মুসলমানের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুসলমানদের রক্ষণশীলতা ও জঙ্গিবাদ নিয়েও প্রচার-প্রচারণা বেড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৬
এমএ/