প্রথমবারের মতো ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলায় তাবলিগ জামাতের উদ্যোগে আঞ্চলিক ইজতেমা থেকে শুরু হয়েছে। শরীয়পুরের কীর্তিনাশা নদীর তীরে প্রায় ২০ একর জমির ওপর ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জোহর নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে আঞ্চলিক এ ইজতেমার কার্যক্রম শুরু করা হয়। আম বয়ান করেন কাকরাইল মসজিদের শুরা সদস্য মাওলানা ওমর ফারুক।
বুধবার থেকে ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা। কীর্তিনাশা নদীর তীর ঘেঁষা শরীয়তপুরের রাজগঞ্জ এলাকায় ইজতেমাস্থল মুসল্লিদের আগমনে এখন মুখরিত।
ইজতেমা সফলভাবে শেষ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩ স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলার তাবলিগ জামাতের লোকজনের বাইরেও দিল্লি জামাতের একটি দল এই ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবেন।
তাবলিগের শীর্ষ মুরুব্বিদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শরীয়তপুর মারকাজ মসজিদের উদ্দ্যোগে শরীয়তপুর জেলায় এবারই প্রথমবারের মতো আঞ্চলিক ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছে।
১ মাস যাবত স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে শত শত মুসল্লিরা ইজতেমা সফল করার জন্য কাজ করেছেন। ইজতেমা মঞ্চের পশ্চিম পাশে কীর্তিনাশা নদীর তীরে মুসল্লিদের জন্য বাঁশের মাচা তৈরি করে অজু ও গোসলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাঠের পূর্ব, দক্ষিণ ও পশ্চিম পার্শ্বে অস্থায়ী টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে ২০টি টিউবওয়েল।
শরীয়তপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সড়কে বাতি লাগানো হয়েছে। শরীয়তপুর জেলা সিভিল সার্জন ও বেসরকারি বেশ কয়েকটি সেবা সংস্থা ইজতেমাস্থলে চিকিৎসা সেবা দিতে অস্থায়ী মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন করেছে।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জোহরের নামাজের আগে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে এ আঞ্চলিক ইজতেমা শেষ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৬
এমএ/