ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

৩ মাস ২৫ দিনে কোরআন মুখস্থ করল গাজীপুরের যুবায়ের

মুফতি এনায়েতুল্লাহ, বিভাগীয় সম্পাদক, ইসলাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৬
৩ মাস ২৫ দিনে কোরআন মুখস্থ করল গাজীপুরের যুবায়ের হাফেজ হেমায়েতুল ইসলাম যুবায়ের

অবাক করার মতো ঘটনা ও বিস্ময়ের জন্ম দিলো গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া জান্নাতুল আতফাল মাদরাসার ছাত্র হাফেজ হেমায়েতুল ইসলাম যুবায়ের। সে মাত্র ৩ মাস ২৫ দিনে পুরো কোরআনে কারিম হেফজ (মুখস্থ) করে হাফেজে কোরআন হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছে।



যুবায়েরের পিতার নাম মো. কামরুল ইসলাম। মাতার নাম মোসা. হোসনা। সে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার রাওনা ইউনিয়নের ধোপাঘাট গ্রামের বাসিন্দা।

কোরআনে কারিমের বিস্ময় হাফেজ যুবায়েরের বয়স মাত্র ১১ বছর। এমন কম বয়স ও সময়ে পুরো কোরআন শরিফ মুখস্থ করার ঘটনা বিরল।

পবিত্র কোরআনে কারিম এমন বৈশিষ্ট্যপূর্ণ একটি কিতাব, যা আল্লাহতায়ালার সংরক্ষণে সংরক্ষিত। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা কোরআনে কারিমে ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয় আমি কোরআন অবতীর্ণ করেছি এবং আমিই তা সংরক্ষণ করব। ’ –সূরা হিজর : ৯

বর্ণিত আয়াতের আলোকে তাফসির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোরআনে কারিম সংরক্ষণের দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহতয়ালা নিয়েছেন। আমরা জানি, কোরআনে কারিম বিশ্বের একমাত্র কিতাব, যা শুধুমাত্র লিপি আকারে সংরক্ষিত হয়নি। বরং নানা বয়সী লাখ লাখ হাফেজে কোরআনের বুকে সংরক্ষিত হয়েছে। এই কোরআন মুখস্থের কিছু ঘটনা মাঝে মধ্যে আমাদের বিস্মিত করে। আমরা দেখি, কেউ হয়তো ৩০ দিনে কোরআন মুখস্থ করেছে, অথবা খুব বেশি বয়সে কোরআন হেফজ করে বিস্ময়ের জন্ম দেয়। কোরআনে কারিম হেফজ তথা মুখস্থ বিষয়ক খবরগুলো মানুষকে উদ্দীপ্ত করে, আল্লাহর সৃষ্টি রহস্যের ঘোষণা দেয়।

দিন হিসেবে যুবায়েরের কোরআন মুখস্থ করতে সময় লেগেছে ১১৫ দিন। সে হিসেবে সে গড়ে দৈনিক প্রায় ৬ পৃষ্ঠা করে মুখস্থ করেছে। তার শিক্ষকদের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, যুবায়ের একদিন সর্বোচ্চ ১ পারা (২০ পৃষ্ঠা) মুখস্থ করেছে তার ওস্তাদ হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহাম্মাদ হিফযুর রহমানকে শুনিয়েছে। আর খুব কম করে হলেও সে ২ পৃষ্ঠা মুখস্থ করতো দৈনিক।

৪ ফেব্রুয়ারি যুবায়েরের হেফজ সমাপ্তি উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠান হয় আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া জান্নাতুল আতফাল মাদরাসায়। সেখানে মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা মুফতি কাজী মুঈনুদ্দীন আহমাদ, মাদ্রাসার সভাপতি সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আফতাব উদ্দীন আহমাদ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মাদ্রাসার শিক্ষকরা উপস্থিতি ছিলেন।



বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৬
এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।