বরিশাল: বরিশালে চরমোনাইয়ের ফাল্গুন মাসের ৩ দিনব্যাপী বাৎসরিক মাহফিল শুরু হয়েছে।
বুধবার বাদ জোহর আমিরুল মুজাহিদীন আলহাজ হজরত মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাইয়ের উদ্বোধনী বয়ানের মধ্য দিয়ে মাহফিলের কার্যক্রম শুরু হয়।
মাহফিলে উপস্থিত মুসল্লিদের আল্লাহ, আল্লাহ জিকিরের ধ্বনিতে মুখরিত এখন গোটা চরমোনাই এলাকা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে কর্দমাক্ত মাঠেই মুসল্লিরা অবস্থান করছেন।
সকালের প্রচন্ড বৃষ্টির দরুন মাহফিলের চারটি মাঠেই পানি জমে যায়। তার পরও কর্দমাক্ত মাঠে অবস্থান নিয়েই মুসল্লিরা বয়ানে শুনছেন।
পীর সাহেব চরমোনাই উদ্বোধনী বয়ানে বৃষ্টির কারণে মুসল্লিদের কষ্ট হচ্ছে উল্লেখ করে ধৈর্যধারণ করার আহবান জানান।
মাহফিলের প্রথম দিনের উদ্বোধনী বয়ানে পীর সাহেব চরমোনাই নিয়তের পরিশুদ্ধি সম্পর্কে আলোচনা করেন। পীর সাহেব তার বয়ানে বলেন, এই মাহফিলে দুনিয়া লাভের কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে কেউ এসে থাকলে তাদের নিয়ত পরিবর্তন করে একমাত্র আল্লাহকে রাজি খুশি করার জন্য এ ময়দানে অবস্থানের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, নিয়তের ওপর সব কাজ নির্ভরশীল। তাই নিয়তকে সব কাজের পূর্বে পরিশুদ্ধ করতে হবে।
তিন দিনের মাহফিলে আরও বয়ান করবেন, মাওলানা আবদুল খালেক সাম্ভলী, মাওলানা মুজিবুল্লাহ, মুফতি সৈয়দ মোঃ ফয়জুল করীম, মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, আলহাজ মুফতি সৈয়দ এসহাক মোঃ আবুল খায়ের, মরহুম পীর সাহেবের খলিফা মাওলানা আবদুর রশিদ (পীর সাহেব বরগুনা), আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী (পীর সাহেব কারীমপুর) ও অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ (পীর সাহেব খুলনা) সহ দেশ-বিদেশের বিখ্যাত আলেমরা।
চরমোনাই মাহফিলে মুসল্লিদের অবস্থানের জন্য ৫০০ একর প্রসস্থ মাঠে সামিয়ানা টানানো হয়েছে।
মাহফিলের নিরাপত্তা ও অাইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ- ৠাব ছাড়াও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে।
স্থাপন করা হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে হাই ভোল্টেজ অটো জেনারেটর।
আগত মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে একটি অস্থায়ী হাসপাতাল রয়েছে।
৩ দিনব্যাপী মাহফিলে নিয়মিত, জিকির-আজকার ছাড়াও দ্বিতীয় দিন বেলা ১১ টায় উলামা ও সুধী সম্মেলন এবং তৃতীয় দিন বেলা ১১ টায় ছাত্র গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৬
এমএ/