ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

ফিলিপাইনে পর্যটক টানতে মসজিদ সংস্কার

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৬
ফিলিপাইনে পর্যটক টানতে মসজিদ সংস্কার

ফিলিপাইন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। রাজধানীর নাম ম্যানিলা।

৭ হাজার ১০৭টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত দেশটি আয়তন হচ্ছে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৭ শ ৬৪ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় ১০ কোটির ওপরে। এর মধ্যে প্রায় ১৪ ভাগ মুসলমান। পর্যটকদের কাছে ফিলিপাইন বেশ প্রিয় জায়গা।

এশিয়ায় যে দু’টি দেশে ক্যাথলিকেরা সংখ্যাগুরু ফিলিপাইন তার মধ্যে অন্যতম। ভ্যাটিকান ছাড়া ফিলিপাইনই এখন পর্যন্ত বিশ্বের একমাত্র দেশ, যেখানে কোনো বিবাহ বিচ্ছেদ আইন নেই।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফিলিপাইন স্বাধীন হয়। ফিলিপাইনে ইসলামের প্রচার ও প্রসার হয়েছে আরব ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে। তাদের ইসলামি জীবনযাত্রা ও আখলাক-চরিত্র দেখে ফিলিপাইনের আধিবাসীরা ইসলাম গ্রহণে উদ্বুদ্ধ হয়।

মিন্দানাও দ্বীপপুঞ্জ হলো ফিলিপাইনের একটি মুসলিম অধ্যুষিত জনপদ। পৃথিবীতে যতগুলো স্বায়ত্তশাসিত উপদ্বীপ রয়েছে; তার মধ্যে মিন্দানাও অন্যতম। মিন্দানাও এর রাজধানীর নাম সুলু। এর জনসংখ্যা ২ কোটির বেশি। জনসংখ্যার শতকরা ৯৮ ভাগ মুসলিম। আয়তন ১ লাখ ২ হাজার বর্গকিলোমিটার। মুসলিমরা প্রধানত মরো জাতি গোষ্ঠীর।

‍ফিলিপাইনে অনেক ঐতিহাসিক মসজিদ রয়েছে। শেখ করিম আল মাখদুম মসজিদটি ফিলিপাইনের প্রথম মসজিদ। যা মিন্দানাওয়ের সিমুনুল প্রদেশের তুবিগ ইন্দানগানে অবস্থিত। শেখ মখদুম করিম নামে একজন আরব ব্যবসায়ী ১৩৮০ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। পুরোনো মসজিদের স্তম্ভ এখনও নতুন ভবনের ভিতরে পাওয়া যায়। শেখ করিম আল মাখদুম মসজিদকে ফিলিপাইনের জাতীয় ঐতিহাসিক কমিশন ন্যাশনাল হিস্টোরিক্যাল ল্যান্ডমার্ক হিসেবে ঘোষণা করেছে। আর সেদেশের জাতীয় জাদুঘর মসজিদটিকে জাতীয় সংস্কৃতির চিহ্ন হিসেবে ঘোষণা করেছে।

আরেকটি বিখ্যাত মসজিদ হলো- পিঙ্ক মসজিদ। মসজিদটিকে শান্তি এবং ভালোবাসার রঙে সাজানো হয়েছে। ফিলিপাইনের মগুইন্দানো প্রদেশের দাতুসৌদি আম্পাতাউন শহরের মসজিদটি অবস্থিত। মসজিদের বর্ণিল রঙ একে অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থাপনা থেকে আকর্ষণীয় এবং ব্যতিক্রম হিসেবে ফুটিয়ে তুলেছে। দিয়েছে আলাদা বৈচিত্র্যময়তা।

ম্যানিলার গোল্ডেন মসজিদও ঐতিহাসিক একটি মসজিদ। এখানে মসজিদের সঙ্গে রয়েছে ইসলামিক সেন্টার ও অতিথিশালা।

কয়েক বছর ধরে ফিলিপাইনে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি দেওয়া হয়। রয়েছে প্রচুর পরিমাণের হালাল খাবারের দোকান। মুসলমানরা তাদের ঐতিহ্য বজায় রেখে রমজানও পালন করতে পারেন।  

সম্প্রতি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ফিলিপাইনের বেশ কয়েকটি প্রাচীন মসজিদ সংস্কারের জন্য সরকার ১০ লাখ ডলার বরাদ্দ দিয়েছে। মসজিদগুলো সংস্কারের পর পর্যটকদের আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হবে বলে ধারণা করছে সেদেশের কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে মিন্দানাও দ্বীপের স্থানীয় কর্মকর্তা ডন এম লং বলেছেন, বর্তমানে আমরা মসজিদে যাতায়াতের প্রধান সড়কসমূহ পুনর্নির্মাণের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। কারণ অচিরেই এসব মসজিদ পর্যটকদের জনপ্রিয় স্থানে পরিবর্তন হবে।



বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৬
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।