বায়তুল মোকাররম চত্বর থেকে: কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মোর্শেদে আজম আওলাদে রাসূল হযরতুলহাজ্ব অধ্যক্ষ আল্লামা ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ আহমদী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী বলেছেন, কালজয়ী আধ্যাত্মিক মনীষী ও কিংবদন্তীতুল্য ইসলামী ব্যক্তিত্ব গাউছুল আজম বর্তমান যুগে ইসলামের স্বর্ণযুগের পুনরাবৃত্তির অগ্রনায়ক।
তিনি বলেন, চৌদ্দশ’ বছর পরে এসে তিনি আধ্যাত্মিক জাগরণের মাধ্যমে বিশ্বময় ইসলামের পুনর্জাগরণ ও গৌরবোজ্জ্বল অতীত পুনরুদ্ধারের রূপকার।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম চত্বরে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ এর উদ্যোগে আয়োজিত এশায়াত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমান যুগে ইসলাম, সুন্নাতে নববী ও আদর্শের প্রতি সচেতন, দৃঢ়চেতা গুণী ব্যক্তিত্ব গাউছুল আজম ইসলামী শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রসারে রাখছেন অসামান্য অবদান।
বেলায়তের সর্বোচ্চ পদে ও খলিফায়ে রাসুলের মর্যাদায় অভিষিক্ত এ মহান মনীষী দেশ-বিদেশে বহু মসজিদ, মাদ্রাসা ও পাঠাগার স্থাপন এবং বিজাতীয় অপসংস্কৃতির বিপরীতে যুব সমাজের মুখে হামদ-নাত পরিবেশন, মুসলমানদেরকে ইসলামী তাহজীব ও তামাদ্দুন অনুসরণ-অনুকরণে ধাবিত করার যে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তা সত্যিই অসাধারণ বলেও জানান তিনি।
তরিক্বতের সংগঠনের মুনিরীয়া যুব তবলীগের মনোগ্রাম বৃক্ষ-তরুলতা থেকে শুরু করে কবর পর্যন্ত অলৌকিকভাবে অংকিত হয়ে এর কবুলিয়তের সাক্ষ্য বহন করছে।
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মুদাররেছিন সভাপতি এ.এম.এম. বাহাউদ্দীনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল মনছুর, বাংলাদেশ প্রেসিডেন্সী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মুহাম্মদ হারুন-আর রশিদ, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদাররেছীন এর মহাসচিব হযরতুলহাজ আল্লামা শাব্বির আহমদ মোমতাজী। প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক মুহাম্মদ ফোরকান মিয়া।
প্রধান অতিথি যুব সমাজের উদ্দেশ্যে বলেন, যুবকেরা হচ্ছে দেশ ও জাতির প্রাণ। যুব সমাজ যদি তরিক্বত চর্চায় আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে কোরআন-সুন্নাহ আলোকে জীবন গঠন করে তাহলে বাংলাদেশ সহ পুরো পৃথিবীটাই হবে শান্তির আবাসভূমি।
সম্মেলনে গৃহায়ন গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার এপিএস মুহাম্মদ নূর খান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেনী পরশুরাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবীদ ড.সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ উদ্দিন।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন, আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ ইব্রাহীম হানফি, আল্লামা মুফতি আনোয়ারুল আলম সিদ্দিকী, আল্লামা মোহাম্মদ আশেকুর রহমান, আল্লামা এমদাদুল হক মুনিরী, মাওলানা সেকান্দর আলী, মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান নোমান ও মাওলানা মুহাম্মদ ফোরকান।
সম্মেলনে দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরাম, পীর-মাশায়েখ, জাতীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও দেশ-বিদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান উপস্থিত ছিলেন।
মিলাদ-কিয়াম শেষে প্রধান অতিথি দেশ-জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং দরবারের প্রতিষ্ঠাতা কাগতিয়ার গাউছুল আজমের দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৬
এফবি/আরআই
** তথ্য-প্রযুক্তির যুগে কাগতিয়া দরবার বিশ্ববিরল
** মুনিরীয়া তরিক্বত মেধা বিকাশের অনন্য পথ
** ঢাকায় এশায়াত সম্মেলনে মুসল্লিদের ঢল
** আদর্শ শাখার স্বীকৃতি পেল দুবাই-ওমান
** সিসি ক্যামেরার আওতায় এশায়াত সম্মেলন
** ঢাকায় এশায়াত সম্মেলন শুরু
** ঢাকায় এশায়াত সম্মেলন শনিবার