সৃষ্টিজীব হিসেবে কোরআনে কারিমে দায়িত্বসচেতন আদর্শ স্ত্রীর কিছু গুণ বর্ণনা করা হয়েছে। ওই সব গুণের কিছু হলো-
‘তার নিদর্শনাবলির মধ্যে একটি বিশেষ নিদর্শন হলো- ‘স্ত্রী’ যাকে তোমাদের মতো করেই বানানো হয়েছে।
বর্ণিত আয়াত থেকে একজন স্ত্রীর বিশেষ কয়েকটি মর্যাদা প্রকাশ পায়। সেগুলো হলো-
এক. একজন স্ত্রী তার স্বামীর জন্য আল্লাহর পক্ষ হতে এক বিশেষ নিদর্শন। কারণ স্ত্রী আল্লাহর নিদর্শনাবলির মধ্যে এক বিশেষ নিদর্শন হিসেবে সৃষ্ট।
দুই. একজন স্ত্রী তার স্বামীর জন্য আল্লাহর পক্ষ হতে জীবনের প্রতিদানস্বরূপ। কারণ স্ত্রীকে স্বামীর মতোই করে সৃষ্টি করা হয়েছে।
তিন. একজন স্ত্রী তার স্বামীর জন্য আল্লাহর পক্ষ হতে জান্নাতস্বরূপ। কারণ আল্লাহতায়ালা স্ত্রীর মাঝেই স্বামীর জন্য অসীম সুখ নিহিত রেখেছেন। এ সুখ অন্য কোথাও নেই।
চার. একজন স্ত্রী তার স্বামীর জন্য আল্লাহর পক্ষ হতে প্রেম ও ভালোবাসার অনন্ত উৎস। কারণ আল্লাহ প্রেম ও ভালোবাসা তাদের জন্যই সৃষ্টি করেছেন।
পাঁচ. একজন স্ত্রী তার স্বামীর জন্য আল্লাহর পক্ষ হতে জ্ঞানস্বরূপ। কারণ আল্লাহতায়ালা বুদ্ধিমানদের জন্য এ বিষয়ে অসীম জ্ঞান রেখেছেন।
এভাবেই কোরআন ও হাদিসের বিভিন্ন বর্ণনায় নারীর অনেক মর্যাদা উল্লেখ করা হয়েছে। তাই স্ত্রীকে যথাযথ মূল্যায়ন করা কাম্য। যার প্রতি সদাচরণে নিহিত রয়েছে- পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় শান্তি। ইহকাল ও পরকালের মুক্তি।
বস্তুত একটা আনন্দময় সংসারের জন্য দাম্পত্য জীবনের ক্ষেত্রে পারস্পরিক করণীয় কি হবে- ওপরের আলোচনা থেকে এটা কিছুটা নির্দেশনা রয়েছে। একটু ভেবে দেখুন, যেখানে আল্লাহতায়ালা আমাদের সরাসরি বলে দিচ্ছেন- এই যে মানুষ! শোনো! তুমি যদি সুখি সংসার চাও; জীবনে শান্তি চাও তাহলে তোমাকে এই এই কাজগুলো করতে হবে। কারণ কোরআনে স্পষ্টভাবে বলে দেওয়া হয়েছে, ‘তিনিই তোমাদের পরস্পরের ভেতর প্রেম ও ভালোবাসা সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় তা এমন এক বিষয় যাতে বুদ্ধিমানদের জন্য জ্ঞান রয়েছে। ’
তাহলে আমাদের কি আর অন্য কোনো দিকে তাকানো ঠিক হবে?
লেখক: বাংলানিউজের পাঠক
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৬
এমএ/