জিবুতি উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার একটি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র। দেশটির রাজধানী ও বৃহত্তম শহরের নামও জিবুতি।
জিবুতির রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। ওই দেশের উল্লেখযোগ্য মসজিদের একটি হলো- আল সাদআ জামে মসজিদ। মসজিদটি রাজধানী জিবুতি শহরে অবস্থিত। এ মসজিদে একসঙ্গে ২ হাজার মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। আল সাদআ মসজিদটি আব্বাসীয় স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত। এ মসজিদের একটি মিনার রয়েছে।
তবে বন্ধুত্বের নিদর্শনস্বরূপ ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের মসজিদ কূটনীতির অংশ হিসেবে দেশটিতে আরেকটি বড় মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষের পথে। নতুন এ মসজিদটি উসমানীয় শাসনামলের স্থাপত্যের আলোকে নির্মিত হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
তুরস্কের বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমের বরাত দিয়ে জানা গেছে যে, দেশটির ধর্ম বিষয়ক অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে আফ্রিকান দেশ জিবুতিতে একটি নতুন মসজিদ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে।
তুরস্কের ধর্ম বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রধান গিয়াসুদ্দিন গার বলেছেন যে, জিবুতির আবদুল হামিদ খান আল সানি মসজিদটির নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী বছর মসজিদটি নামাজের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব হবে।
তিনি জানান, মসজিদটির নির্মাণ কাজ ২০১৫ সালের নভেম্বরে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান শুরু করেন। ওইবার জিবুতি সফরের সময় তিনি জিবুতির পার্লামেন্টে বক্তব্যও রাখেন। পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখার সময় তুর্কি প্রেসিডেন্ট জিবুতিতে একটি বিশাল মসজিদ নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন।
সেই আশ্বাসের প্রেক্ষিতে তুরস্কের ধর্ম বিষয়ক অধিদপ্তর মসজিদটি নির্মাণ করে দিচ্ছে। নতুন এ মসজিদে একসঙ্গে ৪ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। মসজিদটিতে একটি গম্বুজ এবং দু’টি মিনার থাকবে। মসজিদটির পাশে একটি শিক্ষা কেন্দ্রের ব্যবস্থাও থাকবে; যেখানে ৪০০ শিক্ষার্থী অধ্যায়নের সুযোগ পাবেন।
উল্লেখ্য যে, ১০ হেক্টর জমির ওপর নির্মিত মসজিদটি ইতোমধ্যে জিবুতির সবচেয়ে বড় মসজিদ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
দেশটির ৯৪ শতাংশ নাগরিক মুসলিম। দেশটির রাজধানী জিবুতিতে বসবাস করেন প্রায় ৬ লাখ অধিবাসী। শহরটিকে ওআইসির অঙ্গীভূত প্রতিষ্ঠান ইসলামিক শিক্ষা, বিজ্ঞান এবং সাংস্কৃতিক সংস্থা- আইসেসকো (Islamic Educational, Scientific and Cultural Organization-ISESCO) এর পক্ষ থেকে ২০০৮ সালে বিশ্বের ইসলামি সংস্কৃতির রাজধানী নির্বাচিত হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৬
এমএইউ/