ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

ইরানের দৃষ্টিনন্দন সাইয়্যেদ মসজিদ

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৬
ইরানের দৃষ্টিনন্দন সাইয়্যেদ মসজিদ ছবি: সংগৃহীত

ইরানের দৃষ্টিনন্দন একটি মসজিদের নাম- সাইয়্যেদ মসজিদ। ঐতিহাসিক এই মসজিদটি ইরানের যানজন প্রদেশের রাজধানী যানজন শহরে অবস্থিত। প্রাচীন মসজিদটি আসলে একটি মাদ্রাসা। তবে মসজিদ হিসেবেই বেশি পরিচিতি পেয়েছে। 

ইরানের দৃষ্টিনন্দন একটি মসজিদের নাম- সাইয়্যেদ মসজিদ। ঐতিহাসিক এই মসজিদটি ইরানের যানজন প্রদেশের রাজধানী যানজন শহরে অবস্থিত।

প্রাচীন মসজিদটি আসলে একটি মাদ্রাসা। তবে মসজিদ হিসেবেই বেশি পরিচিতি পেয়েছে।  

১৮২৬ খ্রিস্টাব্দে ফতেহ আলী শাহ কাজারের সন্তানদের মধ্য থেকে কোনো একজনের শাসনামলে এই মসজিদটি নির্মিত হয়। নির্মাণকালে মসজিদটি বহু নামে পরিচিত ছিল। যেমন মসজিদে দারা, মসজিদে সাইয়্যেদ, মসজিদে সুলতানি ও মসজিদে জুমা।  
মসজিদের প্রবেশদ্বার
যানজনে অবস্থিত দ্বীনি মাদরাসা ও মসজিদগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর এবং সবচেয়ে বড় স্থাপনা হিসেবে সাইয়্যেদ মসজিদ কমপ্লেক্স সর্বজনবিদিত।  

অনন্য ও ঐতিহাসিক এই মসজিদের আঙিনার চারপাশে ঝুলন্ত বারান্দার মতো করে ডিজাইন করা হয়েছে। দেখে মনে হবে, বারান্দা একটু নিচু হয়ে অাছে। আঙিনাটি লম্বায় ৪৮ মিটার আর প্রস্থে ৩৬ মিটার। আয়তক্ষেত্র আকারের খোলা আঙিনাটি মসজিদের অন্যতম আকর্ষণ।

আঙিনার চারকোণে ঝুলবারান্দার নিচে রয়েছে চারটি রুম। এসব রুমে মাদরাসার ছাত্রদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রাতের দৃশ্য
ঝুলবারান্দার ভেতর এবং বাইরের দেয়ালে চমৎকার সব কারুকাজ করা হয়েছে। পুরো বারান্দাতে রয়েছে টাইলসের কারুকাজ। তার ওপর এবং নিচে রয়েছে বিচিত্র ক্যালিওগ্রাফি। বিচিত্র রঙের সাহায্যে কুফি এবং সোলস ফন্টে করা কোরআনের আয়াতের ক্যালিওগ্রাফিগুলো যেমন দৃষ্টিনন্দন তেমনি হৃদয়গ্রাহী।

আকর্ষণীয় ফিরোজা রঙের টাইলস দিয়ে সূরা আদ দাহারের ক্যালিওগ্রাফি করা হয়েছে। সোলস লিপিতে পবিত্র এই সূরার ক্যালিওগ্রাফি মসজিদের গম্বুজটাকে সৌন্দর্যের পাশাপাশি দিয়েছে অন্যরকম মর্যাদা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৬
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।