ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জার্মানি ও ব্রিটেনের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যভুক্ত দেশসমূহে মুসলিম জনসংখ্যার হার দিন দিন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে মুসলমানদের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
তবে ব্রিটেনের সমীক্ষা সংস্থা ইপসোস মোরির মতে, বিশ্বের ৪০টি দেশে সাধারণ মানুষের অনুভূতি ও বাস্তবতার মধ্যে বৈসাদৃশ্য রয়েছে। সংস্থাটি বলছে, ২০১৬ সালজুড়ে ফ্রান্সে মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ে অতিরঞ্জিত ও অমূলক রিপোর্ট হয়েছে। যা অনেকটাই বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না। আর এখান থেকেই শুরু হয়েছে বিভ্রান্তি।
অধিকাংশ ফরাসিদের ধারণা, তাদের দেশের মোট ৩১ শতাংশ মুসলিম, অর্থাৎ প্রতি ৩ জন নাগরিকের বিপরীতে একজন মুসলিম। অন্যদিকে পিউ রিচার্সের মতে, ২০১০ সালে ফ্রান্সে মুসলিম জনসংখ্যার হার ছিল ৭.৫ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতি ১৩ জনের বিপরীতে একজন মুসলিম। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ফরাসিরা দাবি করেন, ২০২০ সালের মধ্যে ফ্রান্সে মুসলিম জনসংখ্যা অর্ধেক ছাড়িয়ে যাবে। ৪ বছরে দেশটিতে মুসলিমের সংখ্যা ৪০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা পিউ রিচার্সের তথ্যের চেয়ে ৫ গুণ বেশি। পিউ রিচার্সের মতে ৮.৩ শতাংশ।
শুধু ফ্রান্স নয় এমন ভুল ধারণা পোষণ করে ইতালি, জার্মানি এবং বেলজিয়ামের নাগরিকরাও। তাদের ধারণা, তাদের দেশের মোট জনসংখ্যার এক-পঞ্চমাংশ মুসলিম। অথচ বাস্তবে ইতালিতে ৩.৭ ও বেলজিয়ামে ৭ শতাংশ মুসলমানের বাস। ২০২০ সালের মধ্যে ইউরোপে মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ে অমূলক ধারণা পোষণ করে ওই তিন দেশের অনেক নাগরিক।
ব্রিটেনের নাগরিকদের ধারণায় তাদের দেশের মুসলিম জনসংখ্যা ১৫ শতাংশ বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে। ২০১০ সালের সমীক্ষা অনুসারে তা ৩ গুণ বেশি। ২০২০ সালের মধ্যে সেই সংখ্যা ২২ শতাংশ হবে বলে ধারণা তাদের। অথচ পিউ রিচার্সের মতে, তখন হবে ৬ শতাংশ।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ধারণা, তাদের দেশে মুসলিমদের সংখ্যা প্রতি ৬ জনে একজন। অথচ পিউ রিচার্সের মতে, প্রতি ১০০ জনে একজন মুসলিম।
-ডেইলি সাবাহ অবলম্বনে
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৬
এমএইউ/